ভালো ঋণগ্রহীতারা ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধে যে ১০ শতাংশ ছাড় পেয়ে আসছিলেন- তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসছেন তারাও আর এ সুযোগটি পাবেন না। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে ঋণ খেলাপিদের নানা সুযোগ দেওয়ার পর ভালো ঋণগ্রহীতাদের সুযোগ বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ উষ্মা প্রকাশ করেছেন এই সিদ্ধান্তে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঋণ খেলাপিদের গত বছর ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার পর ভালো ঋণগ্রহীতাদের সুদ পরিশোধে রিবেট দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সুবিধা এখন কেড়ে নেওয়া হলো। এ আর নতুন কী! ভালো ঋণগ্রহীতাদের কখনই ভালোভাবে নেয়নি কোনো সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে কারণেই ব্যাংকিং খাতের এই করুণ দশা। তিন দিন আগেও ঋণ খেলাপিদের আরও একটি সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও কাউকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংক ঋণে সুদের হার এতদিন বেশি থাকায় সুদ পরিশোধে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। সুদের হার এক অঙ্কে নেমে আসায় এখন আর তার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৬ মে জারি করা সার্কুলারের মাধ্যমে ভালো ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতাদের চলমান/তলবি/মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাস শেষে গত ১২ মাসে ভালো ঋণ গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে আদায়কৃত সুদ/মুনাফার অন্যূন ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধা প্রদান করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ১ এপ্রিল ২০২০ তারিখ হতে ঋণের ওপর সুদ/মুনাফার সর্বোচ্চ হার নির্ধারিত হওয়ায় কোনো গ্রাহক ভালো ঋণ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হলে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত রিবেট প্রাপ্য হবেন। অর্থাৎ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই ‘রিবেট সুবিধা’ আর পাবেন না ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতারা। তবে নির্দেশনায় ব্যাংক কর্তৃক ভালো ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন