চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ তার বড় দুই প্রতিবেশীর প্রতি উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। খবর পার্সটুডে।
আজ (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত ও চীন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে জন্য আমরা এ দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে।
এর আগে গত সোমবার (১৫ জুন) ভারত-চীন সীমান্তে অবস্থিত লাদাখে চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে ২৩ ভারতীয় সেনা নিহত হন। এছাড়া, এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছে শতাধিক সেনা।
এদিকে, চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান সংঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে, উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এ আহ্বান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে তার মুখপাত্র এরিক কানেকো বলেন, আমরা ভারত ও চীনের মাঝামাঝি সীমান্ত লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং উভয়পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। তবে এটা ইতিবাচক যে, উভয় দেশ উত্তেজনা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ভারত তার সীমান্তের লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর গুরুত্বপূর্ণ সেনা ও বিমান ঘাঁটিতে অতিরিক্ত সেনা ও সরঞ্জাম পাঠিয়ে তাদের সতর্কতা আরো বাড়িয়েছে। তাছাড়া, ভারত তার সমূদ্র সীমানায় নৌবাহিনিকেও প্রস্তুত রেখেছে ।
গতকাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত যুদ্ধ চায় না তবে তারা তাদের দেশের মাটি রক্ষায় কোন রকম আপোষ করবে না। ওদিকে, চীনের পক্ষ থেকে ভারতকে সংযত আচরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোমবারের সীমান্ত সংঘর্ষে ২৩ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হবার পর উভয় দেশের সীমান্তের সামরিক কর্মকর্তাদের বেঠক চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া গতকাল বুধবার ভরতের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী এস জয় শংকর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং লি’র সাথে কথা বলে উত্তেজনা প্রশসনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।