ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি মাসের ৩ তারিখ দলের ২৩৭ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। দলীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বেশ কিছু আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসতেই বাড়ছে দলীয় অন্তর্কোন্দল।

প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থী বাতিলের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কিছু জেলায় মিছিল সমাবেশ, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ কিংবা বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় সংঘাতেও জড়িয়েছেন নেতাকর্মীরা।

দলটির নেতারা বলছেন, বিরোধ মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এমনকি, পর্যালোচনা করে কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান নীতিনির্ধারকদের।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, ২৩৭ আসনের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতটি আসনে কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হতেই পারে। তবে, অতীতের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। কিছু জায়গায় সমস্যা থাকলে মনোনয়ন বোর্ড বসে পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সহিংসতা করায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ব্যক্তি স্বার্থকে উপেক্ষা করে দলীয় স্বার্থকে বড় করে দেখার আহ্বান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর।

তিনি বলেন, দলের সর্বোচ্চ বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বাহিরে যাওয়ার কারও ক্ষমতা নেই। যারা সত্যিকার অর্থে আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে তারা এগুলো করবে না।

সব সংকট মোকাবিলা করে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদের।