ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে প্রতিদিনই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা। পুরো বিশ্ব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও নেতানিয়াহু প্রশাসনকে আগ্রাসনমূলক এসব কর্মকাণ্ডে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পরম বন্ধুর এমন সমর্থন পেয়ে যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলদার রাষ্ট্রটি।

এ অবস্থায় গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে তাদেরই ঘনিষ্ঠ চার মিত্র দেশ—যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং পর্তুগাল।

ক্ষমতাধর এ চার দেশের এমন স্বীকৃতিকে বড় এক বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের জন্য। এরই মধ্যে অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে এই চার দেশের দলে যোগ দিতে যাচ্ছে পশ্চিমা আরও ৬ দেশ, যেখানে আছে ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি ফ্রান্সও। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক বহুজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। অন্তত কয়েক ডজন দেশের নেতারা যোগ দেবেন এই সম্মেলনে। আশা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও ছয়টি দেশ সোমবার একই কাজ করবে বলে ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের ভাষণের আগেই এসব ঘোষণা আসতে পারে। ফ্রান্স ছাড়াও এ তালিকায় আছে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নিউজিল্যান্ড ও লিখটেনস্টাইন।

এরই মধ্যে মাল্টা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।