
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে একই মামলায় তার বোন শেখ রেহানাকে ৭ বছরের ও টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন।
এছাড়াও বাকি আসামিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সুরা মায়েদায় উল্লেখ করেছেন পাপ ও জুলুমের ক্ষেত্রে একে-অপরকে সহায়তা করো না। দুর্নীতি বর্তমানে রোগে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি সমগ্র সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। আমাদের সমাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে, রুখে দাঁড়তে হবে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায়ের জন্য সোমবারের দিন ধার্য করেছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রিজওয়ানা সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আরও দুইজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম ও উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
এছাড়াও পরে যুক্ত হওয়া ২ আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন খুরশীদ আলম। বাকিরা পলাতক।

