বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী তালিকায় আনা হচ্ছে বড় চমক। চলমান আন্দোলনের শরিক দল, নারী, অমুসলিম, জুলাই যোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি, উপজাতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে যুক্ত করতেই জামায়াত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। জামায়াতের নির্বাচনি টিম বর্তমানে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তকরণের কাজ করছে যাতে থাকছে বড় চমক।

ইতোপূর্বে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনায় দলীয় একটি সমাবেশে বলেছিলেন, সব ইসলামপন্থীদের এক ছাতার নিচে আনতে জামায়াত প্রয়োজনে ১০০ আসন ছাড় দেবে। তবে ৮ দল এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তারা এখন একমত যে, যাকে যে আসনে মনোনয়ন দিলে বিজয়ী হবে তাকে সেখান থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি শরিকদের মধ্যে যে দলেরই হন। সবাই তার জন্য কাজ করবেন।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, ৮ দলের শরিকরা কেউই এখন আসন সংখ্যার ভাগাভাগিতে নেই, তারা এখন বিজয়ী হতে চান এবং ইসলামকে বিজয়ী করতে চান। যাকে যেখান থেকে মনোনয়ন দিলে জিতবে তাকেই চূড়ান্ত করবে ৮ দল। ইসলামপন্থিদের বাক্স হবে একটি। শুধু ৮ দল নয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।

সূত্রমতে, জামায়াতের ইতোপূর্বে ঘোষিত তালিকায় বড় পরিবর্তন আসবে শরিকদের জন্য। এর পাশাপাশি অন্তত চারজন সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) জামায়াতের মনোনয়ন পেতে পারেন। সম্প্রতি সমাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত তিনজন ভিপি এবং দুজন জিএসসহ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধিকে জামায়াত মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। যাদের সবাই জুলাই আন্দোলনে ছিলেন সম্মুখসারির নেতা। এক উপদেষ্টাসহ আরও কয়েকজন সম্মুখসারির জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতার জন্য ওইসব আসন ছাড় দিতে পারে জামায়াত। তাদের সঙ্গে জোট করার চিন্তা-ভাবনা থাকলেও যদি জোট না হয় তারপরও কয়েকজনের জন্য আসন ছাড় দিতে পারে জামায়াত।