দেশের ১৫ জন মন্ত্রী-এমপি এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিউজ ২৪।
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানু , বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তাদের মধ্যে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মারা গেছেন। তিনি টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম করোনা আক্রান্তের পর ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান।
এর আগে শুক্রবার সাবেক মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমটির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের শ্বশুর। ফরদিপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসনের বাসার স্টাফ ও অন্যান্যদের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে আগেই জানা গেছে।
এছাড়া সাবেক হুইপ নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহিদুজ্জামান সরকার, রেল মন্ত্রণালয় বিষয়ক কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন সপরিবারে, জামালপুর-২ আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সপরিবারে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ ও গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদের ৯৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন, এমপি শেখ তন্ময়, যশোর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ, রাজবাড়ী-১ আসনের কাজী কেরামত আলী ও টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলাম টিটুসহ প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী-এমপিকে সংসদ অধিবেশনে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের পরিবার, গাড়ির চালক বা ঘনিষ্ঠ কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এবং স্বাস্থ্যগত কারণে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে না আসার জন্য বলা হয়েছে।