নিউজ ডেস্ক:আসছে ঈদুল ফিতরের সময় যাত্রী পারাপার স্বস্তিদায়ক করতে ঈদের আগের ৩ দিন ও পরের ৩ দিনসহ ৭ দিন ফেরিতে সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতর-২০২৪ উপলক্ষে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৬ থেকে ১৬ এপ্রিল দিন ও রাতে বন্ধ থাকবে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতে স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। দিনের বেলায় স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
সভায় জানানো হয়, ঈদুল ফিতরের সময় কালবৈশাখী মৌসুম থাকায় অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী ওঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঞ্চে অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনোভাবেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল নেওয়া যাবে না।
ঈদের আগে ও পরে মোট ১০ দিন সদরঘাট থেকে বা সদরঘাটে আসা কোনো যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল পরিবহন করা যাবে। সেক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারণ করে দেওয়া ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা নেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাঝ নদী থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে বা কোনো নৌযানে যাত্রী ওঠানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক বা চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।