
সরকারি হাসপাতালগুলো চাহিদার চল্লিশ থেকে ষাট ভাগ ওষুধ সরবরাহ করতে পারে । ভর্তি রোগীর বেলায় কিছুটা বেশি হলেও বহির্বিভাগে ব্যবস্থাপত্রের অধিকাংশ ওষুধই কিনতে হয় বাহির থেকে। সেক্ষেত্রে সরকারি ওষুধ কোম্পানি ইডিসিএল এর সক্ষমতাকে দায়ী করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংকট সমাধানে পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন অসংখ্য সেবা প্রত্যাশীর উপচে পড়া ভিড়।
এই করোনার মধ্যেও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসে তিন থেকে চার হাজার । জনপ্রতি তিন-চারটি ওষুধ দেয়া হলেও হাসপাতাল থেকে সরবরাহে স্লিপ দেয়া হয় সর্বোচ্চ দুটি। আবার দশ কিংবা পনেরো দিনের ডোজ লিখে দিলেও রোগীর হাতে পৌঁছায় একপাতা।
একই অবস্থা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের। হাসপাতালের বারান্দায় কিংবা বহির্বিভাগের সামনে যে লম্বা সারি সে অনুপাতে ভিড় কম ওষুধ সরবরাহের স্থানে। তবে যারা সরকারি হাসপাতালে ফ্রি কিংবা কম মূল্যের বিনিময়ে সেবা নিতে আসে, তাদের চাহিদা কতটুকু মোটে এই হাসপাতালে।
আবাসিক রোগীর বেলায় এই পরিসংখ্যানটা একটু স্বস্তিদায়ক।
সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য যেহেতু ৭০ শতাংশ ওষুধ অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস থেকে নিতে হয় তাই এদের সক্ষমতা বাড়লেই কেবল সরকারি ওষুধ নিতে আসা রোগীর পরিধি আরো বাড়ানো সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, হাজার রকমের ওষুধ আমাদের ব্যবহার করতে হয়। যার সব তালিকা ইডিসিএলের নেই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ইডিসিএল থেকে যা পাওয়া যায় তা পর্যাপ্ত নয়। তাই আমরা একটু ভাগাভাগি করেই দেই যাতে সবাই ওষুধটা পায়।
পরিসংখ্যান বলছে দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৪৪.৬ শতাংশই ওষুধের পেছনে খরচ হয়। মৌলিক চাহিদা চিকিৎসার এই প্রধান অনুষঙ্গ হাতের নাগালে আনতে ওষুধ সরবরাহের পুরো প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

