- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

দেশে ফিরতেও এখন ভয় লাগে: জায়েদ খান

বিনোদন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধীরে ধীরে রুপ নেয় সরকার পতনের আন্দেলনে। ছাত্রদের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রাণ ভয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যান প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সরকার পতনের পর থেকে আর দেশে ফিরেনি আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। তার নামে কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। তাই তিনি দেশে বাহিরে থেকেই দেশের পরিস্থিতি জানছেন।

জায়েদ খান দেশের বাইরে থাকলেও তিনি এখন মামলার আসামি। কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে এখনো আমার কিছু শো বাকি আছে। সেসব শেষ করেই ফিরব। আশা করি দেশে ফিরলে কোনো হয়রানির মুখে পড়তে হবে না।’

এ সম্পর্কে অবগত আছেন জায়েদ খান। কানাডা থেকেই একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আমি নাকি ২০১৫ সালে হামলা করে তাকে হত্যাচেষ্টা করেছি। সেই মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য। মিথ্যা মামলা। যার কোনো ভিত্তি নেই।

তিনি বলেন, আমি দেশের একজন শিল্পী। বাংলাদেশকে ভালোবাসি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি। হতে পারে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে বিশ্বাসী আমি। এ জন্য তো যে কেউ মিথ্যা তথ্যমূলক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করতে পারে না।

জায়েদ বলেন, ‘আমি তো রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কাজে জড়িত নই। কোনো দুর্নীতি করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে সবসময় মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে গেছি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই আমি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও সর্বশেষ আমেরিকার শো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। শো করে মানুষকে বিনোদিত করেছি। একজন বিনোদনকর্মী হিসেবে এটাই তো আমাদের কাজ। আমি সেটাই করেছি।

সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, অভিনেতা-উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও জায়েদ খানসহ ৫৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

এ অভিনেতা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা শিল্পী। কারও সঙ্গে কখনো অন্যায় করিনি। কোনো ক্ষতি করিনি। দেশের মানুষকে ভালোবাসি।

আমাকেও সবাই ভালোবাসেন। এখন আমার নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উনি ছাত্রদের নিয়ে দেশের সংস্কারকাজ করছেন। আমার বিশ্বাস— এসব ভিত্তিহীন মামলার বিষয় নিয়েও উনি দেখবেন।’