আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সামরিক বাহিনী সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের বিরুদ্ধে ২৫৩ বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী এবং তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গত এক বছরে ৯৭৪ বার অভিযান চালানো হয়েছে। ইয়েমেনের বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ও তাদের অনুগত ভাড়াটে বাহিনীর বর্বরতার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়। পার্সটুডে।

গতকাল (সোমবার) রাজধানী সানায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী সৌদি জোটের সেনা এবং তাদের ভাড়াটে বাহিনীর বিরুদ্ধে ইয়েমেনের ভেতরে হামলা চালিয়েছে ১৭৮ বার আর সৌদি আরবের গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে ৭৫ বার।

জেনারেল সারিয়ি বলেন, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যে সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে ৩০টি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাতটি দীর্ঘ পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৬টি জুলফিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া, আরো এক ডজন বিভিন্ন মডেলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তবে এগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন নি জেনারেল সারিয়ি।

ইয়েমেনের এসেনা মুখপাত্র বলেন, তার দেশের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয় যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেনারেল সারিয়ি জানান, ইয়েমেনে সামরিক বাহিনী ২০২০ সালে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে দশটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরো জানান, ইয়েমেনে বিমান বাহিনী মোট ৫৬১৩টি সামরিক ও গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করেছে যাতে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া, সৌদি আরবের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ২৬৭ বার ড্রোন হামলা এবং ইয়েমেনের ভেতরে সৌদি ও তাদের অনুগত বাহিনীর বিভিন্ন সামরিক ক্যাম্পে হামলা হয়েছে। জেনারেল সারিয়ি বলেন, এসব হামলার মাধ্যমে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি অর্জনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়।