- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

২০০ টাকায় মিলছে এক টুকরো ইলিশ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আর পূজা উপলক্ষে ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া। এ মাস এখন নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাহিরে চলে গেছে। তবে, রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা এই মাছ খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে বাজারে মিলছে কাটা ইলিশ মাছ। এতে এক কেজি সাইজের একটি ইলিশের এক টুকরো (আনুমানিক ১০০ গ্রাম) কেনা যাচ্ছে ২০০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাহেববাজার মাছপট্টিতে ‘কাটা ইলিশ বিক্রির’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতারা।

ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা জানান, বাংলাদেশে এই উদ্যোগ, এই প্রথম। যা রাজশাহী থেকে শুরু হচ্ছে। কেজি হিসেবে মাছের দাম ধরা হবে। কেটে তার অংশ হিসেবে যে দাম পড়বে, ক্রেতার কাছ থেকে তাই নেওয়া হবে। চাইলে কেউ এক টুকরোও নিতে পারবেন।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, মাছ কেটে বিক্রি করলে দাম বেশিই নিতে হবে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, কাটা মাছের দাম অস্বাভাবিক বেশি।

শামিউল আলম নামের এক ক্রেতা বলেন, এটি ক্রেতাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে। এগুলো না করে মাছের দাম কমাতে হবে। কারণ, ছোট মাছ কেটে তারা বড় মাছের দাম হাঁকছেন।

আরেক ক্রেতা সৌরভ হোসেন বলেন, ইলিশের দাম যেভাবে দাম বাড়ছে, তাতে কিনে খাওয়া কষ্টসাধ্য। এমন উদ্যোগে আমরা হয়তো কিনে খেতে পারবো।

মাছ বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, গোটা মাছ আর কাটা মাছ একদামে বিক্রি করলে লোকসান হবে। তাই কাটা মাছের দাম বেশি। ২৫০ গ্রামের কম বেচলেও লোকসান হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, এক পিস মাছ বিক্রি করতে গেলে মাথাটা অবিক্রীত থেকে যাবে। এ জন্য বিক্রেতারা এক পিস মাছ বিক্রি করতে রাজি নয়। আমরা সমাধান দিয়েছি যেন মাথাটা ছোট আকারে কাটা হয় এবং কেউ এক পিস নিলেও যেন তাকে মাথার ছোট একটা পিস দেওয়া হয়। তাহলে মাথাও বিক্রি হবে, ক্রেতারাও খুশি হবে। আমরা চাই সবাই ইলিশের স্বাদ পাক।