- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

হৃদরোগ সহ অনেক রোগের উপকার খেজুরে

শীত হাজির হয়েছে। শীতে পিঠেপুলি থেকে কেউই পিছিয়ে নেই। এখনই ভুঁড়ি ভোজের সঠিক সময়। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা উচিত। এ কারণে এই সময় রোজ সকালে বা রাতে কিংবা খাবারের ফাঁকে খাবার তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। এটি এমন একটি ফল যা বছরব্যাপী বাজারে পাওয়া যায় এবং বছরজুড়েই খাওয়া যায়। এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। এবার তাহলে খেজুর খাওয়ার উপকারিতার বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-

হৃদরোগের সমস্যা: প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রের অনেক উপকার পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে, সারা রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা দূর করে থাকে। এনডিটিভি, বোল্ড স্কাই।

দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি: খেজুরে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। খেজুরে থাকা এসব উপাদান শরীরকে উষ্ণ রাখতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে চিকিৎসকরা শরীরকে শক্ত রাখার জন্য নিয়মিত খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ঠাণ্ডা নিরাময়: ঠাণ্ডাজনিত কোনো সমস্যা থাকলে ২-৩টি করে খেজুর ও একটি এলাচ সেদ্ধ করে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। এতে করে ঠাণ্ডা নিরাময়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

শক্তি বৃদ্ধি: খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। তাই কখনো দুর্বল অনুভব করলে শক্তি বৃদ্ধির জন্য খেজুর কার্যকরী একটি ফল।

হাড়ের উন্নতি: খেজুরে সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান হাড়গুলো সুস্থ রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

হজম বৃদ্ধি: আঁশ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। কয়েকদিন পর নিজেই এর উপকারিতা পাবেন।