- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে , জানে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর!

সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই বেড়েছে রোগীর চাপ। আইসিইউসহ সাধারণ শয্যার তীব্র সঙ্কট হওয়ায় ভোগান্তিতে রোগীরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকা রোগীরা হাসপাতালে আসায় হিমশিম অবস্থা। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ার সঙ্গে ব্যাহত হচ্ছে সেবা।

একটি আইসিইউ শয্যার জন্য ৬৮ বছর বয়সী মাকে নিয়ে ৩টি হাসপাতাল ঘুরেছেন ওয়াহিদা পারভিন। স্নায়ু রোগে আক্রান্ত মায়ের জন্য অবশেষে আসগর আলী হাসপাতালে মিলেছে আইসিইউ বেড। কিছুটা স্বস্তি মিললেও কয়েক ঘণ্টায় মায়ের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সময় টিভি

হৃদরোগ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শয্যাসংখ্যা ৭২। এর বিপরীতে রোগী ভর্তি হয়েছে ১৮৫ জন। মাঝে মাঝেই এই সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বাড়তি চাপে রোগীরা পাচ্ছেন না যথাযথ সেবা। সুস্থ হতে এসে উল্টো কোভিড সংক্রমণে পড়ার আশঙ্কায় রোগীরা।

সাধারণ ও আইসিইউ শয্যার তীব্র সঙ্কট দেখা দিলেও, তা স্বীকার করতে নারাজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চাপ বাড়লে তখন নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পরিচালক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই-যে সিট পাচ্ছি না, সিট বাড়াতে হবে। আগে যেরকম সিট খালি থাকতো এখন ওমন নেই। হয়তো আইসিইউ’র অভাব আছে এখনও।

একেকজন রোগীর সঙ্গে ৩ থেকে ৫ জন অ্যাটেনডেন্ট হাসপাতালে প্রবেশ করছেন। এতে সেবা চরমভাবে ব্যাহত হবার পাশাপাশি সংক্রমণ কোনোভাবেই এড়ানোর উপায় নেই বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।