দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে, যা আমাদের হৃদস্পন্দন অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। অপ্রত্যাশিত হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া কিন্তু এক ধরনের রেড ফ্ল্যাগ। হার্ট যত সক্রিয় থাকবে শরীর ততো ভালো কাজ করবে। যে কারণে চিকিৎসকরা সবসময় রক্তচাপ এবং চিনির স্তরকে ভারসাম্য বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হৃদস্পন্দন সম্পর্কিত পরিস্থিতি উপসর্গ এবং সমাধানগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-

হার্ট বিট দ্রুত হয়ে গেলে কী ঘটে

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটস। অবশ্য অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে হার্ট রেট বা পালস রেট ৪০ এর কম হতে পারে। যেহেতু হার্টের ছন্দকে কাউন্ট করে থাকে তাই কোনোভাবেই হার্ট রেটকে হেলাফেলা করা উচিত নয়। এ থেকে হার্টে রক্তের প্রবাহের অনুমান করা যায়। হার্ট রেট বেশি হলে হার্টের সমস্যার আশঙ্কা থাকে। তবে কিছু কিছু রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে যেমন-হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ, জন্ম থেকেই অস্বাভাবিক হার্ট স্ট্রাকচার সমস্যা, জ্বর বা জলশূন্যতা।

জলশূন্যতা

অ্যালকোহল ও কফির গ্রহণ কমিয়ে আনুন। আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং আই বলটি হালকা টিপুন। বিশ্রাম পাবে। যতটা সম্ভব বিশ্রাম করুন। আপনার কয়েক মিনিটের জন্য যদি বুকে ব্যথা হয় এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

হার্ট বিট কমে গেলে কী হয়

কখনও কখনও হার্টবিট ধীর হতে পারে। এমন হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে কোনও ব্যক্তির হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০ বিটের নিচে নেমে গেলে এই অবস্থাকে ব্র্যাডিকার্ডিয়া বলে। এটি অ্যাথলেটদের মধ্যে সাধারণ। তবে সাধারণ ব্যক্তির হার্ট বিট ধীর হওয়ার অর্থ মস্তিষ্কে সঠিক অক্সিজেন সরবরাহ করতে সমস্যা হয়। এই অবস্থায় ক্লান্ত, দুর্বল এবং চঞ্চলতা অনুভব করতে পারে।

সমাধান

ওপরের কথা শুনে আতঙ্কিত হলেও আপনি জানেন না কী ঘটেছে? যখন হৃৎপিণ্ড হঠাৎ থেমে যায়, তখন হার্ট এর এই অবস্থাকে হার্ট প্যালপিটেশন বলে। এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যদি কারো সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে থাকে তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন। সাধারণত ধূমপান, হতাশা ও উচ্চ ক্যাফিন গ্রহণ। সূত্র: এই সময়।