- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাড়ল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্যানিটাইজার তৈরির প্রধান কাঁচামাল, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।

গত বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) এনবিআর প্রকাশিত গেজেটে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গেজেটে জানানো হয়, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত মাস্ক, স্যানিটাইজার, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে স্যানিটাইজার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামালসহ এন-৯৫ ও কেএন-৯৫ মাস্ক, ফেস শিল্ড, কোভিড টেস্টের কিটসহ দেশে মাস্ক ও পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিনাশুল্কে আমদানি করা যাবে।

এ সময় পর্যন্ত এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর বা মূসক, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর থেকে অব্যাহতি সুবিধা বহাল থাকবে।

এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় চাহিদা মেটানো ও বিদেশে রপ্তানি সুবিধার কথা বিবেচনা করে গত বছরের ৫ অক্টোবর সংস্থাটির জারি করা প্রজ্ঞাপনে গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছিল।

সুবিধা পাওয়া অন্যান্য পণ্য ও উপকরণের মধ্যে রয়েছে মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের নন-ওভেন ফিলামেন্ট, মাস্কের এয়ার ব্যান্ড, নাক সুরক্ষিত ক্লিপ মাস্ক, পিসিআর, প্লাস্টিক থেকে তৈরি সুরক্ষিত পোশাক, প্লাস্টিক ফেসশিল্ড, সুরক্ষিত চশমা, গ্যাস মাস্কসহ শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূরীকরণে ব্যবহৃত বিশেষ বিশেষ উপকরণ।

এনবিআর জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর প্রথম দিকে এপ্রিলে এসব সুরক্ষা সামগ্রীর আমদানিতে শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, অগ্রিম আয়করসহ যাবতীয় শুল্ক-কর মওকুফ করা হয়। প্রথম দফায় যে সুবিধা দেয়া হয়েছিল তার মেয়াদ শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর এই সুবিধা দ্বিতীয় দফায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আরেক দফা বাড়ানো হয় এই সুবিধার মেয়াদ।