- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

স্বাস্থ্য খাত লুটেরা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে: শরীফ নুরুল আম্বিয়া

বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেছেন, স্বাস্থ্য খাত এখন লুটেরা গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করছে। এ কথা আমার একার নয়, দেশের প্রায় সব মানুষই এটা মনে করেন। সে কারণেই করোনার শুরু থেকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ মহামারীর বিপদ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যেখানে মানুষ বাঁচার চেষ্টা করছে, সেখানে স্বাস্থ্য খাতের লুটেরারা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। টেস্টের নামে ব্যবসা হচ্ছে। কেনাকাটায় ব্যবসা হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, স্বাস্থ্য খাতে রাজনৈতিক চরিত্রের চেয়ে লুটেরা চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটের উৎসব চলছে। আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অপসারণ করা হোক। কিন্তু তা করা হয়নি। সে কারণে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। এখনো কেন তাকে রাখতে হবে-আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। ফলে সরকারের কর্মকান্ডের ওপর জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া সমন্বয়ের বড় ঘাটতি রয়েছে। টেস্টের মধ্যে ব্যবসা হচ্ছে। কেনাকাটায় ব্যবসা হচ্ছে। ফলে ফ্রন্টলাইনের চিকিৎসকরা অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন। শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, করোনার উৎপত্তি আমাদের দেশে নয়। বাইরের দেশ থেকে এটা এসেছে। এ ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার এটাকে যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদফতর বারবার বলছিল, সব নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রস্তুতি আছে। কিন্তু কোথায় গেল সেসব? তিনি বলেন, আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ শিল্প কল-কারখানা এলাকায় হাজার হাজার মানুষ কাজ করে। তারা আসছে ও যাচ্ছে। লকডাউনের আগে ও ঈদের ছুটির সময় একেবারে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা শহর এখন সবচেয়ে অনিরাপদ। ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলের এ নেতা বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন দোষারোপের রাজনীতি করে লাভ নেই। সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগে এখন সমাধান করতে হবে। যে প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটা করতে হবে। নিয়ম মানানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি বলেন, এখন দল নয়, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। দেশটাকে বাঁচাতে হবে। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা সতর্ক করে আসছি। কেউ কান দেয়নি। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুভব করেনি। তার পরিণতি এখন ভোগ করতে হচ্ছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন