- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কোরবানির হাট করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিবে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা না হলে কোরবানির পশুর হাট করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই বিধি না মানলে কোরবানির পশুর হাট করোনার ঝুঁকি ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।

বুধবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এ বছর মহাসড়েকের পাশে কোনো কোরবানির পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে যেখানে-সেখানে পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগেই পশুর হাটে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া মহাসড়কের ওপর বা পাশে হাট বসানো যাবে না।

করোনার নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অসহায়, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে ফি দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এতে তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে। সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে। তাই খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন শেষ হওয়া এলাকায় ইতিবাচক ফল এসেছে। সরকার আরও কিছু এলাকায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

আপাতত বিচ্ছিন্নতাকে সবার কল্যাণের জন্য বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাময়িক এই বিচ্ছিন্নতা দীর্ঘ মেয়াদে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্যই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে, এ রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা সীমাবদ্ধ সুযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হবে কষ্টসাধ্য, সমসাময়িক বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তার প্রমাণ পেয়েছি। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সমাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় চলি, সামান্যতম অবহেলা আর উদাসীনতা আমাদের প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। এই চিরচেনা জগতটাকে করে দিবে অচেনা, স্বপ্নের রঙে সাজানো বর্ণিল পৃথিবী হয়ে যাবে বিবর্ণ।

মন্ত্রী বলেন, দেশের নয়টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের রেশ না কাটতেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষকের ফসল, মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাকবলিত জেলায় পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। সবাইকে ঐক্য ও সাহসিকতার সঙ্গে এসব দুর্যোগ উত্তরণে কাজ কারার আহ্বান জানাই। দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসহায়তা পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিবিড়ভাবে বন্যা পরিস্থিতি মনিটর করছেন।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।