- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

সোমেশ্বরী নদী পারাপারের একমাত্র সেতুতে ভাঙন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদী পারাপারের একমাত্র সেতুতে ভাঙন দেখা দিয়েছে । বুধবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরশহরের বিরিশিরি ব্রীজের উপরের অংশের একটি পাটাতন হঠাৎ ভেঙে পড়ে ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে সেতুটি । সেতুটির উপর দিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচলে দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে । এতে করে কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায়ও পড়েছে হুমকির মুখে । সেতুটির একটা অংশে ভাঙ্গনের পরে স্থানীয়রা বাঁশে লাল নিশান টানিয়ে যাতায়াত করছে । কি কারণে হঠাৎ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়েছে তার এখনও কোন কারণ জানা যায়নি ।

উল্লেখ্য, পর্যটন নগরী দুর্গাপুরের লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি । স্বাধীনতার পর ১৯৯৭ সালে সোমেশ্বরী নদীর উপর শুধুমাত্র এই একটি ব্রিজে স্থাপনে মূলকাজ শুরু হয়, যা ২০০১ সালের পরে গিয়ে শেষ হয় । শুধু দূর্গাপুরের মানুষরাই নয় কমলাকান্দাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার বাসিন্দারাও বর্তমানে এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে । কিন্তু তাতে হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় চিন্তার মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা ।

সরেজমিনে জানা গেছে, দূর্গাপুর ও বিরিশিরির মাঝে সোমেশ্বরী নদির উপর ব্রিজে হঠাৎ বুধবার (২সেপ্টেম্বর) সকালে ছিদ্র / ভাঙন দেখতে পান স্থানীরা । পরে তারা বাঁশে লাল নিশান টানিয়ে যাতায়াতকারীসহ সবাইকে সতর্ক করেছেন।

জানা গেছে, এই ব্রিজটিই দূর্গাপুর উপজেলা ও কলমাকান্দা উপজেলার জনগণের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। হাজারো পর্যটক দূর্গাপুরের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে আসে এই ব্রিজ মাধ্যমে। রাজ্স্ব জোন দূর্গাপুর থেকে বালি, নুড়ি বালি ৫ মহাল থেকে প্রায় ৭০ কোটি রাজস্ব , ভ্যাট , উৎস কর পায় সরকার । পরিবহনেরও একমাত্র পথ এই ব্রিজ। সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের এই বালুর অনেক চাহিদা থাকা সত্বেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা জন্য বালুর সরবরাহ করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা । আবার ব্রিজের ছিদ্রের কারনে সংকট ঘনিভূত হবে বলে মনে করছেন অনেকে । সুতরাং দ্রুত এই ব্রিজের ছিদ্রাংশ মেরামত করা জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা ।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম জানায়, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ব্রিজ দ্রুত সংস্কারের জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা নিয়েছি । আসলে এই এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য এটিই একমাত্র ব্রিজ । ব্রিজটি কিভাবে ক্ষতিসাধন হয়েছে এবং পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে তা জানার জন্য ঢাকা থেকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের একদল এক্সপার্টটিম আসবে। তারা এসে পর্যবেক্ষণের পরেই সব জানা যাবে।