মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, চলমান করোনা ও বন্যা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের যে ক্ষতি হয়েছে তা যেকোনো মূল্যে পুষিয়ে নিতে কাজের গতি বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেয়ায় কোনো ঘাটতি নেই।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকারসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যেন কোন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম কাঙ্ক্ষিত নয়। কোনোভাবেই তা বরদাশত করা হবে না। আইন অনুযায়ী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কর্তব্য পালনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শনে কোনো অনিয়ম পেলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করে সামগ্রিক চিত্র তুলে আনতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালীন গোটা জাতিকে উজ্জীবিত করেছেন উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি দৃশ্যমান ছিলো। করোনার মধ্যে আপনারা ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতা সঙ্গে কাজ করেছেন। এটা আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, করোনা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি, উৎপাদক ও বিপণনকারীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ক্ষতি যেকোনো মূল্যে পুষিয়ে নিতে কাজের গতি বাড়াতে হবে।

কোরবানির সময় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। শোকের মাস আগস্টে শক্তি সঞ্চয় করে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।