বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিকদলগুলো কিছুই করতে পারেনি বলছেন অনেকেই। কিন্তু সব আন্দোলনই ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল দেশের জনগণের। দ্রুত নির্বাচন না হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে, জনগণের মধ্যে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
বিরোধীদল দমন করে এ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসে ভারতের কি দায় নেই– প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, দেশবিরোধী কত কাজ যে শেখ হাসিনা করেছেন, এর কোনো শেষ নেই। ৫৩ বছরে রাজনৈতিকদলগুলো কিছুই করতে পারেনি বলছে এখন অনেকেই। কিন্তু সব আন্দোলনই ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আগের মতো আতঙ্ক থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। সব হত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। পার্টির নমিনেশন হলেই সব হত।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, বিচার বিভাগ আর প্রশাসনের স্বাধীনতাটা দরকার। এমন পরিবেশ নিশ্চিত করুন যেন বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের অবৈধ কোনো কিছু মানতে বাধ্য হবে না।
সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে সংস্কারের মাস্টারপ্ল্যান করলে, তা দেশের জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তবে অন্তর্বর্তী সরকার যাই করবে, তা অন্তত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সংস্কার কোনো বড় বিষয় না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ঊর্ধ্বতন কেউ বা নির্বাহী আদেশের অবৈধ নির্দেশকে না বলাই বড় সংস্কার। প্রশাসনের সমন্বয় ঠিকমতো না হওয়ার কারণে এখনও দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক হয়নি।
এ সময় শেখ হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।