কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক সত্য ও সঠিক তথ্য তুলে ধরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যারা মিথ্যা, অসত্য তথ্য ও সংবাদ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকার কথাও বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে। পঁচাত্তরের এর আগেও এরা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিল। সেজন্য আমি আন্তরিক আহবান জানাই, আপনারা সত্য-সঠিক তথ্য তুলে ধরে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন। যারা মিথ্যা, অসত্য তথ্য ও সংবাদ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবেন।”

মন্ত্রী শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন প্রমুখ সভায় বক্তৃতা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও মিডিয়াবান্ধব। যে কারণে করোনার এই দু:সময়েও অসচ্ছল সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সরকার এগিয়ে এসেছে, পাঁশে দাঁড়িয়েছে।

ড. রাজ্জাক বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকারের সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার দুর্যোগ চলছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বন্যার দুর্যোগও চলছে। তারপরও আশা করা যায়, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, বাংলাদেশে খাদ্যের কোন সমস্যা হবে না।

“আমরা অর্থনৈতিক, কৃষি উৎপাদনসহ সার্বিকভাবে এমন সক্ষমতা অর্জন করেছি যে, বাংলাদেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কোন কারণ নেই। যেকোন দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকারের সব প্রস্তুতিত রয়েছে” ,বলেন কৃষিমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ছিল আর এখন ১৬ কোটির উপরে। স্বাধীনতার পর মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ, যা কমতে কমতে এখন হয়েছে ১০ শতাংশ। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।