- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

সকাল শুরু করুন এই খাবার দিয়ে

শরীর ভালো রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। আমরা প্রায় সময় খাবার খেয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছি ব্যাপারে আমরা উদাসীন। সকালের খাবারের মাধ্যমে সারাদিনের খাদ্যাভাস গড়ে ওঠে। তাই সকালে কী খাচ্ছেন তা নিয়ে কখনও ভেবেছেন?

সাধারণত পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে আমরা খাবার খেয়ে থাকি। আর সকালে খালি পেটে কী খাচ্ছি সে বিষয়ে আমাদের বেশি মনোযোগী হতে হবে। কেননা সকালে আমরা এমন অনেককিছু খাই যা আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। আর স্বাস্থ্যকর খাবার না খেলে সারাদিন পেটের সমস্যা ও ক্লান্তি অনুভব হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ও নাস্তায় কী খাবেন তা আজ থেকেই ঠিক করুন। আর ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে গরম চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই বাদ দিন। এর বাইরে ঘরোয়াভাবে তৈরি বেশকিছু পানীয় খেতে পারেন, যা আপনাকে সারাদিন চাঙ্গা রাখবে। আসুন সকালে কী খাবেন এবং কেন খাবেন, তা জেনে নেই।

খালি পেটে পানি খান: ভোরে কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি খাওয়া বেশ উপকারী। আজ থেকেই চেষ্টা করে দেখুন। অবশ্যই যেটুকু খেতে পারেন সেটুকুই খাবেন। বেশি খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা অনুভব হতে পারে। তাই সকালে নিয়মিত পানি খেলে সুস্থ থাকার পথে আপনি একধাপ এগিয়ে থাকবেন। এছাড়া আপনার পাকস্থলী পরিষ্কার থাকবে। একইসঙ্গে এ অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। যাদের দীর্ঘদিন ধরে হজমের সমস্যা তাদেরকে চিকিৎসকরা প্রতিদিন খালি পেটে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর শীতের সময় ঠান্ডা লাগলে হালকা কুসুম গরম পানিও খেতে পারেন।

লেবু পানি: অনেকেই এক কাপ ধোঁয়া উঠা কফি বা চায়ের চুমুকে সকাল শুরু করেন। এতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এছাড়া হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। তাই এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন, যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত লেবু পানি খেলে খাবার হজমেও সুবিধা হবে। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মৌসুমি রোগ-ব্যাধি ও অ্যালার্জি দূর করতে লেবু পানি অতুলনীয়। আর লেবুতে অ্যাসিডিটি মনে হলে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।

গ্রিন টি: সকালে গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে শক্তিশালী রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। আবার পেটের মেদ কমাতেও বেশ উপকারী। তাই সকালে চা-কফির পরিবর্তে এক কাপ গ্রিন টি আপনাকে সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।

আদা-হলুদের চা: অনেকে গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কী জানেন, আদা ও হলুদ মিশ্রিত চা কতো উপকারী? আদা ও হলুদে অ্যান্টি ইনফ্লামটারি প্রোপার্টি থাকে যা প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকরী। আদা হজম প্রক্রিয়া সহজ করাসহ বমি বমি ভাব দূর করে। আর হলুদ আপনার লিভার ভালো রাখতে কাজ করে।

মৌরি ভেজানো পানি: মৌরির নাম শুনে মসলা মনে হলেও এর অনেক ভেষজ গুণ আছে। বিশেষ করে, মৌরি ভেজানো পানি ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে। মৌরিতে ক্যালোরির পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। আবার এটি খেলে ক্ষুধাও কম লাগে। এছাড়া শুধু মৌরি খেলে বদহজম দূর হয়। আর মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কিছু মৌরির দানা সঙ্গে রাখতে পারেন।

আমলকীর জুস: আমলকী এমনিই হয়তো অনেকে খান। তবে কিছুদিন সকালে আমলকীর জুস খেতে পারেন। জুস খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে কিছু না খাওয়া ভালো হবে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। এর ভেষজ গুণও অনেক। বিশেষ করে, আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া আমলকীর রস পেটের পীড়া, হজমের সমস্যাসহ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে বেশ উপকারী।

পুদিনা চা: আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে নিয়মিত পুদিনা চা খেতে পারেন। এতে আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে।