- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মাসে আক্রান্ত এক লাখ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশে প্রতি মাসে করোনা আক্রান্ত হবেন এক লাখ মানুষ। বাড়বে প্রাণহানি। মন্ত্রী বলেন, মহামারি মোকাবিলায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে। গতকাল করোনা চিকিৎসা সহায়তায় আসা চীনা মেডিকেল টিমকে বিদায় জানাতে গিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান। এ সময় উপস্থিত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জানান, চীনে চলমান ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ সফল হলে, বাংলাদেশ তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় যে হারে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে তাতে মানুষ অধিক সচেতন না হলে সব হাসপাতাল করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এ কারণে করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষকে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি কোরোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে বাজেট আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরও দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও বর্তমানে চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি আগামীতে যে রকম হবে সরকার সেভাবেই বুঝে শুনে পদক্ষেপ নেবে। তিনি জানান, বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা কিটের চাহিদা বেশি বলে প্রয়োজনীয় কিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশে কিটের যে মজুদ আছে তাতে ‘ঘাটতি হবে না’ বলে তিনি আশা করছেন। কোনো কারণে সংকট তৈরি হলেও তা খুব দ্রুত মেটানোর ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। কাজেই কিট নিয়ে এ মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজে অগ্রগতিও অনেক। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সবার আগে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশের কাজে চীনা দল ‘সন্তুষ্ট’ হয়েছে। তবে আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রতিনিধি দল সরকারকে জানিয়েছেন। আমরাও সামনের দিনগুলোতে চিহ্নিত জায়গাগুলো নিয়ে আরও কাজ করব। করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পরামর্শ দিতে গত ৮ জুন ঢাকায় আসে ১০ সদস্যের চীনা প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশে দুই সপ্তাহের সফর শেষে চীনের বিশেষজ্ঞ দল সোমবার দেশে ফেরে। এ সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যদের মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন বর্তমানে পাঁচটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে সফলতা আসলে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই পাবে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন