- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

‘শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে প্রয়োজনে সুবিধামতো শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে । মঙ্গলবার( ৭ জুলাই) তিনি এ কথা জানান।

এর আগে এক সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই এই মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। প্রয়োজনে সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।

চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখুন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করুন। যদি তা না করেন, তাহলে সরকার চাল আমদানি করতে বাধ্য হবে।

সরকার চাল আমদানিতে যেতে চায় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে চাল আমদানি হলে মিলারদের লোকসান হবে এবং যেসব কৃষক ধান ধরে রেখেছেন তারাও লোকসানে পরবেন। এই সময়ে যে সমস্ত মিল এগিয়ে আসবে তাদেরকে এ বি সি- এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করতে এরইমধ্যে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেসব মিলকে পরবর্তীতে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রতি ইঞ্চি জমি যেন চাষাবাদ করা হয়।

চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। আপনারা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ চাল সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেবেন। অতীতেও আপনারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আশা করি, এ বছরও সরকারি গুদামে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাল দিয়ে সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, এখন ভরা মৌসুম। এ সময়ে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না। এরইমধ্যে সরকার চাল আমদানি করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। এ করোনাকালে অপপ্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি চালের মূল্য বাড়ানো হয়, তাহলে সরকারিভাবেই চাল আমদানি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করছিলেন না। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সে অনুযায়ী ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গরিমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলেন। অনেক মিল মালিক আবার চুক্তিমূল্যে চাল দিতেও চাচ্ছেন না।