আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পটপরিবর্তন এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর সরকার দৃষ্টি রাখছে বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির গভীরতা অনুভব করে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চলমান তৎপরতা আরও বেগবান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আর কতকাল এ বোঝা বহন করবে?

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে জয়যুক্ত করে দেওয়ার গ্যারান্টি।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বার বার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের লাশ উপহার দিয়েছে।

বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো।

তিনি বলেন, জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে, কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা, করোনার অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিটি খাতে ফিরতে শুরু করছে চাঞ্চল্য বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিলো, সেই ফ্রন্ট ছিলো ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা ছোঁড়াছুড়ি, আর একজন আরেকজনকে বহিষ্কারই সে ফ্রন্টের সফলতা ছিলো।

তিনি বলেন, এখন আবার তারা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, আসলে বিএনপির নেতৃত্বে মোর্চা গঠন জাতীয় ঐক্যের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।।

একটি মহল করোনার টিকা নিয়ে এখনো সংশয় সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের কথা কানে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, টিকার নেতিবাচক কোন প্রতিক্রিয়া এখানে পাওয়া যায়নি, তাই সকলকে উৎসাহের সাথে টিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা- সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি মূল দলের সাথে সঙ্গতি রেখে সহযোগী সংগঠনগুলোকে পালনের আহ্বান জানান তিনি।