বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের এখন থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ দিতে হবে না। তাছাড়া প্রবাসীরা এখন থেকে বিদেশে ছুটির দিনেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। চলমান ডলার সংকটে বৈধভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৬ নভেম্বর) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) চেয়ারম্যান আফজাল করিম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বৈঠক শেষে আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, এবিবি ও বাফেদা ধারাবাহিক বৈঠকের মতই আমাদের আজকের মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এখন থেকে ব্যাংকগুলো ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স এবং ১০০ টাকায় রপ্তানি আয় সংগ্রহ করবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠাতে চার্জ দিতে হবে না। কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই প্রবাসীরা সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে। তারা ছুটির দিনগুলোতেও রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। আমরা ছুটির দিনেও এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ডলার সংকট নিরসনে গত ২৩ অক্টোবর ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়। রপ্তানি বিল ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। যা গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা প্রবাসী আয়ে এবং রপ্তানি আয়ে ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈদেশিক মুদ্রার চরম সংকটের সময়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাহিদা মেটাতে তৎপরতা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।