করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের আট কর্মকর্তাকে আবারও দুদিন করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডের আসামিরা হলেন- হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব, এক্স-রে টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব হাসান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী, রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম, এইচআর অ্যাডমিন অমিত বণিক, গাড়িচালক আব্দুস সালাম, এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল ও মিজানুর রহমান। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি মিজানুর রহমানকে এক সপ্তাহ ও অন্যদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেকের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৭ জুলাই রাতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব। করোনা পরীক্ষা না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম, হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম, স্টাফ আব্দুর রশিদ খান, স্টাফ শিমুল পারভেজ, কর্মচারী দীপায়ন বসু, মাহবুবসহ আরও দুজন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন