- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

রামসাগর উদ্যানে মায়াবী চিত্রার দল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ। আর এ বন্ধে ফুরফুরা মেজাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দিনাজপুরের মিনি চিড়িয়াখানায় চিত্রা হরিণের পাল। কোলাহল নেই, নেই দর্শনাথীদের বিরক্তি এমন পরিবেশ থেকে মুক্ত এই হরিণের পাল তাদের ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি দিনাজপুরের রামসাগর, যা সারা বাংলার এক সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহাসিক দিঘি। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দিঘিটি পর্যটকদের মনকে ছুঁয়ে যায় ভালো লাগার পরশে। আরও বেশি পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে এই রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিণগুলো। এই চিত্রা হরিণের সংসারে গত কয়েক মাসে এসেছে ৮টি নতুন অতিথি। এ নিয়ে এখন মিনি চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিসহ ৫৫টি চিত্রা হরিণ।

চিত্রা হরিণগুলোর খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট আসে না। এতে সমস্যা হয় যা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হয়। পরে বাজেট এলে তা সমন্বয় করা হয়। আবার চাহিদার তুলনায় খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায় না। এতে বিকল্পভাবে খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় স্থানীয়ভাবে। চিত্রা হরিণগুলোকে ছোলা, নেপিয়ার ঘাস, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙ্গা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেওয়া হয়। রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করা গেলে খাবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে জানান ফরেস্টার ফসিউল আলম। চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। আবার রামসাগরের জলরাশির দেখভাল করে জেলা প্রশাসন।

দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ফরেস্টার ফসিউল আলম জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ৬টি চিত্রা হরিণ আনা হয়। হরিণগুলোর দ্রুত বংশবিস্তারে বাড়তে বাড়তে এদের সংখ্যা হয় ৫৪টি। গত বছরের আগস্টে ৭টি চিত্রা হরিণ সিলেট ইকো পার্কে নেওয়া হয়। এদিকে কয়েক মাসে ৮টি মা হরিণের পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। এই নিয়ে বাচ্চাসহ এখন ৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এসব চিত্রা হরিণসহ মিনি চিড়িয়াখানার বিভিন্ন জীবজন্তুর জন্য খাবার আগেই যোগাড় করে রাখতে হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে এই মিনি চিড়িয়াখানায় ওষুধ, খাবারসহ এক লাখ টাকার অধিক ব্যয় হয় এবং শীতকালে আরও বেশি ব্যয় হয় বলে জানান তিনি।