- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

রাজধানীতে আবারও অসহনীয় হয়ে উঠেছে মশার উৎপাত

আবারও যেন অসহনীয় হয়ে উঠেছে রাজধানীতে মশার উৎপাত। দিনের বেলাতেও রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে উত্তরা, এয়ারপোর্ট, আগারগাঁও, ধানমন্ডি কিংবা পুরান ঢাকায় বাড়ছে কিউলেক্সের প্রাদুর্ভাব। অপরিকল্পিত মশক নিধনকেই এজন্য দুষছেন কিটতত্ত্ববিদরা। ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেও নগর কতৃর্পক্ষ বলছেন, এই সময়ে কিছুটা বাড়ে কিউলেক্স।

সাধারণ মানুষ জানান, এখানে প্রচুর মশা। এর জন্য বসে থাকা যায় না। সিটি কর্পোরেশন মশার ওষুধ দেয়; কিন্তু গন্ধ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেসব এলাকায় খাল কিংবা নর্দমা রয়েছে সেখানে এর প্রাদুর্ভাব আরো মারাত্মক। সকালে লার্ভিসাইড আর বিকেলে ফগারের ধোঁয়াও রুখতে পারছে না মশা।

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অষুধ ছেটানোয় ঠেকানো যাচ্ছে না কিউলেক্সের বিস্তার।

কীটতত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে প্রতি সপ্তাহে অ্যাল্ডডিসাইড ও লার্ভিসাইড দুই ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ডোবা নালা পরিষ্কার ও বিটিআই ব্যাকটোরিয়া জাতীয় কোন উপাদান ব্যবহার করা যায় তাহলে সহজেই কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, বছরের এই সময়টা কিউলেক্স বাড়ার মৌসুম। এর জন্য আমাদের অভিযান নিয়মিত চলবে।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে এক দিনের বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গু বাহক এডিস বিস্তারের শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।