- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

যে খাবারে ভালো থাকবে লিভার

শরীরের বিপাকহার থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণে, খাবার হজমে, ভিটামিন সঞ্চয়ে সাহায্য করে লিভার। আর শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে, প্রোটিন হজমে সাহায্য করে যে প্রত্যঙ্গটি, সেটি বিগড়ে গেলে যে বিপদ অনিবার্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার নিয়ে ইদানীং চিন্তিত চিকিৎসকরাও।

কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতায় লিভারের অসুখ দিন দিন বাড়ছে। কমবয়সি থেকে বয়স্ক— ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। চিকিৎসকরা বলছেন, সময়ে যদি কেউ সতর্ক না হন, বড় ধরনের মাসুল গুনতে হবে।

সে কারণে কালো কফি, গ্রিন টি, মাচা— এসব পরিমিত পরিমাণে খেলে লিভার ভালো থাকবে, মেদ জমবে না। কারণ কালো কফিতে মেলে ক্যাফিন, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। এতে থাকা প্রদাহনাশক উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর মেদ জমতে দেয় না। এ ছাড়া গ্রিন-টি ও মাচাতেও মেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেন, পানীয় খেতে হবে চিনি ছাড়া এবং পরিমিত পরিমাণে। তবেই উপকার মিলবে।

আর দ্বিতীয় যে জিনিসটির কথা বলেছেন চিকিৎসক, সেটি ভারতীয় হেঁশেলে বিভিন্ন খাবারে নিয়মিত খাওয়া হয়। ডাল হোক কিংবা তরকারি, হলুদের ব্যবহার নিশ্চিত। এতে রয়েছে কারকিউমিন, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতি দিন আধা থেকে এক চামচ হলুদ ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের বেরি জাতীয় ফল, ব্রকোলি, বিটও লিভারে ফ্যাট জমতে দেবে না। কারণ ব্রকোলিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম বা নেই বললেই চলে। আর এতে থাকা সালফোরাফেন নামে উপাদানটি লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। বিটে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান এবং বিটেলেন্স, যা লিভার ভালো রাখতে সহায়ক। বেরি জাতীয় ফল, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরিতে থাকে প্রচুর ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। এই ফলগুলোও লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর তাতে মেদ জমতে দেয় না।