দূষণ, জেনেটিক্স, খারাপ খাদ্যাভ্যাস আর অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে সময়ের আগেই চুল সাদা হয়ে যায়। নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবে অসময়ে মানুষের চুল ঝরে যায়। তবে শরীরে কিছু ভিটামিনের অভাবও এ জন্য দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কোন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির কারণে সময়ের আগেই চুল পেকে যায়, তা কি জানেন।
ভিটামিন বি১২-এর অভাবে ক্ষতিকারক রক্ত স্বল্পতাই এর সঙ্গে যুক্ত। আর অকালে চুল পাকার অন্যতম কারণই হচ্ছে এই ভিটামিন বি১২-এর অভাব। কারণ ভিটামিন বি১২ শরীরকে শক্তি দেয় ও চুলের প্রাকৃতিক রঙ বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি১২-এর অভাব চুলের কোষকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং মেলানিনের উৎপাদন কমাতে পারে। আবার মেলানিন চুলকে তার প্রাকৃতিক রঙ দেয়।
লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভিটামিন বি১২ চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং মেলানিন উৎপাদনে সহায়তা করে। সুতরাং শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি চুলের গোড়ায় পৌঁছায় না, যা পিগমেন্টেশনকে প্রভাবিত করে এবং চুল ধূসর হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ট্রাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ২৫ বছরের কম বয়সি তরুণদের চুল ধূসর হওয়ার কারণগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল সিরাম ফেরিটিনের কম মাত্রা। এটি শরীরে আয়রন সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ভিটামিন বি১২-এর অভাবজনিত কারণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। খাদ্যতালিকায় দুধ, দই ও পনিরের মতো খাবার রাখলে মিলবে ভিটামিন বির চাহিদা। এ ছাড়া কোষের বৃদ্ধি ও ডিএনএ সংশ্লেষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি৯। এর কারণেও চুলের রঙ পরিবর্তন হতে পারে।
আবার ওয়েব এমডিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, ভিটামিন সি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ঘাটতির কারণে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ভিটামিন সির অভাবে চুল দুর্বল ও সাদা হতে শুরু করে, এরপর ধীরে ধীরে চুল পড়তে থাকে। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না হলে টাক পড়ে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। এ জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন আমলকী, টমেটো, কমলা এবং সবুজ শাকসবজি নিয়মিত খাওয়া উচিত।