- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম স্টেট হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসি

যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আরও একটি তারকা যুক্ত হচ্ছে খুব শিগগিরই। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ওয়াশিংটন ডিসিকে ৫১তম স্টেটে পরিণত করার একটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে ২৬ জুন প্রতিনিধি পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অনেক পুরনো এই দাবিটির প্রতি ইদানীং জনসমর্থন ব্যাপকভাবে বেড়েছে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। বিশেষ করে, এই আন্দোলন দমনে হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার মতো মনোভাবের বিরুদ্ধে সিটির মেয়র ম্যুরিয়েল বাউসারের দৃঢ় অবস্থান সমগ্র জনগোষ্ঠীকে আরও ঐক্যবদ্ধ করেছে। এ প্রসঙ্গে ক্ষোভের সঙ্গে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি ১৫ জুন বলেন, ‘ভাবতেও অবাক লাগে যে, ওয়াশিংটন ডিসিকে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না। এটি বৈষম্য বলে আমি মনে করছি। এটিকে বেখাপ্পাও মনে হচ্ছে, যা একেবারেই অগণতান্ত্রিক এবং অগ্রহণযোগ্য।’ এই সিটির মেয়র মুরিয়েল বাউসার উল্লেখ করেছেন, ওয়াশিংটন ডিসির মোট অধিবাসী ৭ লাখের মতো। এর সিংহভাগই হলেন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। এ জন্যেই এখন পর্যন্ত রিপাবলিকানরা ওয়াশিংটন ডিসিকে ৫১তম স্টেট হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। তবে চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এখন সেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার শ্বেতাঙ্গ, ল্যাটিনো, এশিয়ানরাও। সে তাগিদেই ডেমোক্র্যাটরা আন্তরিকতা নিয়ে কাজটি করতে চাচ্ছেন। ইউএস সিনেট এখনো রিপাবলিকানদের দখলে থাকায় প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হলেও নভেম্বরের নির্বাচনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে। সবাই আশাবাদী যে, নভেম্বরের নির্বাচনে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ডেমোক্র্যাটদের হাতে আসতে পারে। এ ধরনের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে ক্লিনটনের আমলে। তখন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ ছিল ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে ২-১ মার্জিনে। ডিসি স্টেটে পরিণত হলে সেখানে দুজন সিনেটর এবং একজন কংগ্রেসম্যান থাকবেন। স্টেট গভর্নরও থাকবেন। অর্থাৎ তেমন ব্যবস্থায় হোয়াইট হাউসের খবরদারি অনেকটাই হ্রাস পাবে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন