যৌথ নৌ মহড়ার মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন ও সামরিক কৌশল উন্নয়নে অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছে ইরান, চীন ও রাশিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মার্কিন সামরিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একপ্রকার হুমকি। এর মাধ্যমে নতুন জোট গঠনের কড়া বার্তা পাওয়া গেল।
সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মার্চ) ইরানের চাবাহার বন্দরের কাছে ‘সামুদ্রিক নিরাপত্তা বেল্ট ২০২৫’ নামে চীন, রাশিয়া ও ইরানের যৌথ নৌ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহড়ায় অত্যাধুনিক মিসাইল করভেট ও টহল জাহাজ পাঠিয়েছে ইরান।
চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে কৌশলগত অপারেশনে অংশ নিয়েছে তারা। এছাড়া পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা, আজারবাইজান, পাকিস্তান, ওমানসহ মোট ১০টি দেশের সামরিক প্রতিনিধি।
আয়োজকদের দাবি, কৌশলগত এলাকায় সামরিক শক্তি বাড়াতেই এই মহড়া। মূল উদ্দেশ্য সামরিক শক্তিমত্তা বাড়ানো, সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা। লক্ষ্যভেদী হামলা প্রশিক্ষণের সঙ্গে মহড়ায় রয়েছে জাহাজে অনুপ্রবেশ ও অনুসন্ধান অভিযান, এমনকি উদ্ধার অভিযানও।
তবে এই মহড়াকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির শক্তির ভারসাম্য বদলের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এটি শুধু মহড়া নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের বিরুদ্ধে নতুন শক্তির জোট গঠনের স্পষ্ট বার্তা।
যদিও এই মহড়ায় মোটেও চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ওমান উপসাগর ও হরমুজ প্রণালির মতো কৌশলগত জলসীমায় এ ধরনের মহড়া পশ্চিমা বিশ্বকে চাপে ফেলবে। বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তেল এই অঞ্চল দিয়ে পরিবহণ হয়। ফলে অঞ্চলটিতে প্রভাব হারালে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।