- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

মোবাইলের রিং বেজে উঠলে নামাজে কী করণীয়

নামাজ ভঙ্গের যেসব কারণ আছে তন্মধ্যে একটি হলো- আমলে কাসীর। আমলে কাসীর বলা হয়, নামাজি ব্যক্তির এমন কোনো কাজে লিপ্ত হয়ে যাওয়া যা অন্য কেউ দেখলে মনে করবে সে নামাজে নেই। আর নামাজি ব্যক্তির প্রতি অন্য ব্যক্তির এরূপ ধারণা তখনই সৃষ্টি হয় যখন সে দু’হাত ব্যবহার করে কোনো কাজ করে। এক হাত নামাজে ব্যস্ত রেখে অন্য হাত দিয়ে কাজ করলে এমন ধারণা মোটেও সৃষ্টি হয় না।

এ কারণেই ফিকাহবিদরা নামাজের মধ্যে প্রয়োজনে এক হাত ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নামাজরত অবস্থায় টুপি উঠানো, জামার হাতা নামানো, সিজদার স্থানের কঙ্কর সরানো, শরীর চুলকানো, শীতের কাপড় সরানো, বা কাপড় টেনে নেয়া এবং এ জাতীয় অন্যান্য কাজ করার জন্য (প্রয়োজনে) এক হাত ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো অবস্থাতেই দু’হাত ব্যবহার করা যাবে না।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, নামাজের মধ্যে মোবাইলের রিং বেজে উঠলে দু’হাত ব্যবহার না করে এক হাতের সাহায্যে মোবাইল পকেটে রেখেই যেকোনো বাটন চেপে রিং বন্ধ করে দেবেন। আর পকেট থেকে মোবাইল বের করার প্রয়োজন হলেও একহাত দ্বারাই করবেন।

মোবাইল বের করে পকেটের কাছে রেখে, না দেখে দ্রুত বন্ধ করে আবার পকেটে রেখে দেবেন। মনে রাখবেন, একহাত দ্বারা মোবাইল বন্ধ করতে গিয়ে মোবাইল পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করা যাবে না। কারণ দেখে দেখে বন্ধ করা অবস্থায় কেউ নামাজি ব্যক্তিকে দেখলে সে নামাজে আছে বলে মনে করবে না। ফলে তা আমলে কাসীরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

সূত্র: (খুলাসাতুল ফাতওয়া, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১২৯ # ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১০৫ # শরহে নববী, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২০৫ # রদ্দুল মুহতার, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ২৬৪, ২৬৫, ৬২৪, # আল বাহর্রু রায়েক, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা : ১১-১২ # ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৫৬৪ # শরহুল মুনিয়াহ, পৃষ্ঠা: ৪৪৩)।