বানভাসি সখিনার নিনাদ 

ভারী বর্ষণে চারদিক পানিতে থই থই
উজানের পাহাড়ি ঢলে সখিনার ভিটা ছুঁই ছুঁই।
গ্রামের বাঁধ ভাইঙ্গা হু হু কইরা
ঢুকছে বানের জল,
ভাইসা গেছে গরু ছাগল হাঁস মুরগী…
যা ছিল সম্বল!

সখিনা বিবির আত্ম চিৎকার
বাজান রে, বান আইছে
চল বাজান, কলার ভেলায় চল।
মা গো আমাগো ঘরের কি হইব?
ঘরের এত সব জিনিস পত্তর?
মধুমিতারে সঙ্গে নিবা না?
আর ঐ যে খড়গুলোর কি হইব?
মধুমিতা খাইব কি?
মা, তাইলে কি মধুমিতা না খাইয়া মরব?
বাজান রে, আমাগোরেই তো খাওন নাই
থাহনের জাগা নাই।
মধুমিতারে খাওন দিব কি, থাহন দিব কই?
বাজান রে, কই যাই?
কি খাই?
তার নাই কুল কিনারা?
বানভাসি মানুষ আমরা।

সবখানে বানের পানি
মাথা গোঁজার নেই ছাউনি।
পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই
বিশুদ্ধ পানি নেই
আহার নেই, নিদ্রা নেই
সখিনা বিবি দের কিচ্ছু নেই, দেখার কেউ নেই।
আছে সখিনাদের সীমাহীন দুঃখ দুর্দশা,
মানবেতর জীবনযাপন করে বেঁচে আছে হর হামেশা।
আজ সখিনারা বন্যার কবলে বাস্তুহারা
করোনা কালে অভাব অনটনে দিশাহারা।

সখিনারা বাঁচতে চায়
নিরাপদে থাকতে চায়,
বন্যা কালীন সময়ে পারস্পরিক সহায়তা চায়
বন্যা পরবর্তী সময়ে প্রাদুর্ভাবের সচেতনতা চায়।

ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/media.bangladeshersomoy