- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

মোংলা নদীতে ঝুলন্ত ব্রিজ করবো: খুলনা সিটি মেয়র

বাগেরহাট প্রতিনিধি: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহনগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমাদের মোংলা নদীতো শেষ হয়ে গিয়ে ছিলো। এই নদীতে রামপাল এলাকার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবে মারা যান। আমি ২০১২ সালে মোটরসাইকেলে রামপাল থেকে পেড়িখালি আসছি। এই নদী আবার নতুন করে প্রাণ পাবে কেউই ভাবেনি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীকে বলার পর তাৎক্ষণিক ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করেন। ৮৪টি খাল ৫৩৩ কোটি টাকা দিয়েছেন যাতে এ নদীতে যেনো আবার শ্রোত হয়।

তিনি বলেন, এখন আমাকে অনেকে বলেন অনেক যায়গায় নদী ভাঙন হচ্ছে। আমি বলছি নদী রক্ষা করার পরে অন্য কিছু। নদীতে তো ভাঙনথাকবেই। সেটা রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্য ঘষিয়াখালী ক্যানেল আবার সুন্দরভাবে চলছে।

তিনি আরও বলেন, মোংলা নদীতে অনেক আগেই ব্রিজ করতে পারতাম। কিন্তু এই ব্রিজ করলে মোংলা পোর্ট থাকতো না। এই ব্রিজ যদি হতো মোংলা পোর্ট এমনিই বন্ধ হয়ে যেতো। আমরা চাই ঝুলন্ত ব্রিজ করবো, ঝুলন্ত ব্রিজ কি হয়তো অনেকে বোঝেন না। ঝুলন্ত ব্রিজ হলো ব্রিজে কোনো পিলার পড়বে না। পিলার পড়লে নদী থাকবে না। চীন-মৈত্রী বাংলাদেশ একটা সেতু আমাদের প্রাপ্য। সেটা হলো মোংলা নদীর উপর একটা ঝুলন্ত ব্রিজ। ইতোমধ্যে ছয়েল টেষ্ট হয়ে গেছে। আমরা আশা করবো দুইটা ব্রিজ হবে। একটা মোংলা বন্দর করবে আরেকটা চীন- মৈত্রী বাংলাদেশ। প্রেসিডেন্ট এসে ৩টি ব্রিজের কথা বলেছেন। দাকোপ, মোংলা আরেকটি হলো লেবু খালী।

২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় মিঠাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় করেন খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন।এসময় নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে কর্মী সমাবেশ বিশাল জনসভায় পরিণত হয়।