- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

মোংলায় মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি মনেনীত প্রার্থী মো. জুলফিকার আলীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় শহরের মাদরাসা রোডস্থ পৌর মেয়রের বাসভবনের নির্বাচনী অফিস সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলীস অভিযোগ করন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের চাপে সাধারণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। বাধা পেরিয়ে কেউ কেউ যেতে পারলেও সরকারি দলের নিয়োগকৃত ক্যাডারদের সামনে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এভাবে কোনও সভ্য দেশে নির্বাচন হতে পারে না। আমি নিজে কয়েকটি কেন্দ্র এমনি লজ্জাকর ভোট ডাকাতির চিত্র দেখেছি।
তিনি বলেন, আমি নিজে কোনও কেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেট দেখিনি। নির্বাচন কমিশনকে এসব বিষয়ে জানালেও কোনও প্রকার প্রতিকার মেলেনি। একইসঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ জন কাউন্সিলর ও সতন্ত্র দুই জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বর্জন করা কাউন্সিলররা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিব ফকির, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমান হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইউনুস আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন, আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ কাদের, সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কমলা বেগম, ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী লিলি বেগম, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আয়শা বেগম।

মোংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল থেকেই বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ করা হচ্ছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেইসব স্থানে স্টাইকিং ফোর্স, ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যিদের পাঠানো হয়। নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে এখনও কোনও কিছু নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়নি।