- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

মুসলিমদের ধর্মনিরপেক্ষ করার উদ্দেশে টুইট করেছিলাম

যতটা সমাদৃত ঠিক ততোটাই সমালোচিত এক নাম তসলিমা নাসরিন। এর কারণ, অতি নারীবাদী লেখা আর ধর্ম নিয়ে নানা বিতর্কিত মতামত দেয়া। যে কারণে উগ্রবাদীদের চাপে ২০০৪ সালে তসলিমা নাসরিনকে নির্বাসিত হতে হয়েছে, ছাড়তে হয়েছে জন্মভূমি বাংলাদেশ। এরপর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও চলে যেতে হয় লাঞ্ছিত হয়ে। আরটিভি।

বর্তমানে অবস্থান করছেন দিল্লিতে। কিন্তু থেমে নেই তার নানা বিতর্কিত মতামত। বাংলাদেশ, এদেশের মানুষ, ধর্ম নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করেই যাচ্ছেন।

এবার বিদ্রুপ মন্তব্য করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীকে নিয়ে। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ আসে, মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার লোগো সম্বলিত জার্সি পরবেন না মঈন আলী। যদিও পরে সেটি মিথ্যা বলে জানানো হয়।

কিন্তু মঈন আলীকে নিয়ে তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘ক্রিকেটার না হলে মঈন আলী যোগ দিতেন সিরিয়াতে আইএসে।’

তার এমন টুটের পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইংলিশ ক্রিকেটার থেকে শুরু করে মুসলিম ধর্মালম্বিরা।

ইংলিশ পেসার জফরা আর্চার একের পর এক টুইট করতে থাকেন তসলিমার বিরুদ্ধে। এমন কি তার মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। টুইট করেন, ‘তুমি ঠিকা আছো? আমার মনে হচ্ছে ঠিক নেই।’

আরেক পেসার স্যাম বিলিংস লেখেন, ‘তার টুইটার অ্যাকাউন্টকে সবাই রিপোর্ট করেন।’

এমন অনেক টুইটারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এরপর তসলিমা বাধ্য হন তার টুইটটি মুছে দিতে। তবে মুছে দিয়ে আরেকটি টুইটে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে চেয়েছেন।

‘আমাকে যারা ঘৃণা করে তারা ভালো করে জানে, মঈন আলীকে নিয়ে করা টুইটটি ব্যাঙ্গাত্মক ছিল। এরপরও তারা এটাকে ইস্যু বানিয়ে অপমান করছে আমাকে। কারণ, আমি মুসলিম সমাজকে ধর্মনিরপেক্ষ করার চেষ্টা করি এবং ইসলামী ধর্মান্ধতার বিরোধিতা করি। মানবজাতির অন্যতম দুঃখজনক বিষয় হলো, নারীবাদের পক্ষ নেওয়া বামপন্থীরা নারীবাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ইসলামপন্থীদের সমর্থন করে।’

তসলিমার ফিরতি টুইটেও থেমে নেই আর্চার। লিখেছেন, ‘ব্যাঙ্গাত্মক? কই কেউ তো হাসছে না। মনে হয় না আপনিও হাসছেন। ভালো হয় বরং টুইটটি ডিলিট করে দেয়া।’