আধুনিক যুগে সকলের জীবনধারা বদলে গেয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বাইরে থাকতে হয়। ব্যস্ততার জন্য ছুটির দিন ছাড়া বাসায় রান্নার কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এ কারণে অনেকে সপ্তাহের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন এবং প্রয়োজন মতো তা বের করে গরম করে খেয়ে থাকেন। আর এই খাবার গরম করা হয়ে থাকে ইলেক্ট্রনিকস গ্যাজেটে অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। কলকাতা ২৪।

ব্যস্তময় জীবনে একটু বিশ্রাম ও আরামের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার গরম করে খাওয়ার বিলাসিতায় কি বিপদ আসছে না তো? প্রশ্ন অনেকের মনেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবার খাওয়া হয়। এই অভ্যাসের ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।

সাধারণত শাকসবজি ও ফলমূল কাটার পর এমনিই ভিটামিন নষ্ট হয়। ধুয়ে রান্না করলে পুষ্টিগুণ থাকে না বললেই চলে। আবার সেই খাবার যদি একদিন রান্না করে সপ্তাহজুড়ে সেই খাবার খাওয়া হয়। খাবার ফ্রিজে রেখে ঘনঘন মাইক্রোওভেনে গরম করে খাওয়ার ফলে নিজের অজান্তে ক্ষতি হচ্ছে নিজের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি-১২ অকার্যকর করে পড়ে। খাবার গরম করার সময় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-১২ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ ও মাংসজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এসব খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করার পর খাদ্যগুণ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া খাবার গরম করার পর কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয় যেমন- বেঞ্জিন, জাইলিন। এসব উপাদান খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশের পর ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ তৈরি হয়।

এছাড়া প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার গরম করলে এ থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গত হয়ে থাকে। ফলে সহজেই ক্যান্সার হওয়া ঝুঁকি থাকে। তাই মাইক্রোওভেনে খাবার গরম না করাই উত্তম।

এছাড়াও হৃদস্পন্দনের গতির তারতম্যও হয়ে থাকে ওভেন থেকে নির্গত রেডিয়েশনের জন্য। তাই ওভেনে ডিম, দুধ, মাংস, মাশরুমজাতীয় খাবার গরম করে খাওয়া ক্ষতিকর। তবে বিশেষজ্ঞরা একদমই রান্না করতে নিষেধ করছেন না।