- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

মস্তিষ্কে স্থাপনের জন্য নিউরালিংকের নতুন যন্ত্র

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নিউরালিংক মানুষের মস্তিষ্কে বসানোর মতো উপযোগী একটি নতুন যন্ত্র তৈরি করেছে, যা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সক্ষম। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্রটি বসানোর অনুমতিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। এই অনুমোদন যন্ত্রটির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়ক হবে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যম।

ইতোমধ্যে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, দুই চোখের অপটিক নার্ভ নষ্ট থাকা ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সাহায্য করবে নিউরালিংকের ব্লাইন্ডসাইট যন্ত্রটি। ভিজ্যুয়াল করটেক্স অক্ষত থাকলে জন্মান্ধ ব্যক্তিদেরও দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে পারবে যন্ত্রটি। তবে প্রথম দিকে এই যন্ত্র স্থাপনের ফলে কিছুটা ঝাপসা ছবি দেখা যাবে। এরপর ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে। তখন স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু দেখা যাবে।

এর আগে মাস্ক জানিয়েছিলেন, ব্লাইন্ডসাইট যন্ত্রটি বানরদের মস্তিষ্কে স্থাপনের পর কাজ করছে। নিউরালিংকের তৈরি এই যন্ত্রের কারণে কোনো বানরের মৃত্যু হয়নি বা কোনো বানর গুরুতর আহত হয়নি। এই যন্ত্রের মাধ্যমে ইনফ্রারেড, আলট্রাভায়োলেট বা রাডার তরঙ্গও দেখতে পারবেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে তারহীন চিপ যুক্ত করে নিউরালিংক। এরপর গত আগস্ট মাসে আরও এক ব্যক্তির মস্তিষ্কে তারহীন চিপ যুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি।

নিউরালিংকের তথ্যমতে, মস্তিষ্কে চিপ বসানো দুজন ভালো আছেন এবং মস্তিষ্কের সংকেত কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারছেন। মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করে জটিল স্নায়বিক সমস্যার সমাধান করতেই বিশেষ প্রযুক্তির চিপটি তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জটিল স্নায়বিক সমস্যার পাশাপাশি বিষণ্নতা ও সিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসাও করা সম্ভব হবে।

তবে মস্তিষ্কে এই চিপ স্থাপন করা হলে তা মানুষের শরীর ও জীবনের ওপর কেমন ঝুঁকি তৈরি হয়, তা নিয়ে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু এফডিএ এখন মানব মস্তিষ্কে এই চিপের পরীক্ষামূলক ব্যবহার অনুমোদন করায় উদ্বেগ অনেকখানি কমবে। দীর্ঘদিন ধরেই নিউরালিংক এই চিপ নিয়ে নানা রকম যাচাই-বাছাই ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছে।

মানুষের মস্তিষ্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, কিংবা সুপার কম্পিউটারের সমকক্ষ করা যায়, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা চলছে। বিশ্বের একাধিক প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে গবেষণা করছে। ইলন মাস্কের দাবি, নিউরালিংকের চিপ এই গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে