- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ভারত যদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতই থাকে, তবে জরুরি কেনাকাটা কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে জরুরি কেনাকাটার ছাড়পত্র দেয়ার পর প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনী যদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুই থাকে, যেমনটা দাবি করেছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান (সিএএস), তবে কেন জরুরি ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হলো? খবর দি কুইন্ট।

জরুরি কেনাকাটার প্রয়োজন পড়ল কেন?

কয়েক বছর আগে সরকার ১০ দিনের তীব্র যুদ্ধের প্রয়োজনীয় মজুত গড়ে তোলার জন্য বাহিনীগুলোকে অনুমতি দেয়। এই প্রয়োজন যদি মেটানো হয়ে থাকে, তবে এখন কেন আবার অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রয়োজন পড়ল?

কোনো দেশই, তা তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য যত ব্যয়ই করুক না কেন, কখনো একবারে সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত রাখতে পারে না। অনেক সময় এসবের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, অনেক সময় সেকেলে হয়ে পড়ে।

এ কারণে সবসময়ই ব্যাচ হিসেবে অস্ত্র সংগ্রহ করাটা ভালো আইডিয়া। পকেটে যদি টাকা থাকে, তবে কেনাকাটা করা কোনো ব্যাপারই নয়। তবে ব্যয়ের সময় অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়া এবং নিজের দেশের উৎপাদনের সম্ভাবতা যাচাইয়ের মতো বিষয়গুলো নিয়েও চিন্তা করা হয়।

ভারতীয় বিমান বাহিনী কী কিনবে?

সাধারণভাবে জরুরি কেনাকাটা করা হয় রাজস্ব বাজেটের অর্থ থেকে। ভারতীয় বিমান বাহিনী সম্ভবত তার মজুত বাড়ানোর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনবে।

ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা, রকেট, ‘ডাম্প’ আইরন বোমাকে ‌‘স্মার্ট’ বোমায় পরিণত করার কিট ইত্যাদির পাশাপাশি অস্ত্র প্লাটফর্মও কেনা হতে পারে।

চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যই যদি ভারতের বিমানবাহিনী কেনাকাটা করে, তবে নিশ্চিতভাবেই যেসব আইটেম থাকবে, তার একটি হলো বোমা। ভারতে দেশীয়ভাবে বোমা উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু তা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো পর্যাপ্ত নয়।

বিশেষ করে ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের বোমা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ কাম্য হবে। একটি একক সু-৩০ বিমান ২৮টি ২৫০ কেজি বোমা বহন করতে পারে। ফলে কতগুলো বোমার প্রয়োজন হতে পারে তা বোঝাই যায়। তবে এসব বোমা নির্ভুলভাবে নিক্ষেপের জন্য কিছু কিটের প্রয়োজন হয়। সেগুলোও সংগ্রহ করতে হবে।

বিমান থেকে বিমানে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সংগ্রহ বাড়ানো হতে পারে

চীনা বিমানবাহিনীর হামলাকারীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখার জন্য ভারতের স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন বাড়াতে হবে। বিভিন্ন প্লাটফর্মে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও সংগ্রহ করতে হবে।

নতুন উদ্ভাবন

ভারতীয় বিমানবাহিনীতে প্রয়োজনের আলোকে নতুন কিছু উদ্ভাবনও করতে হবে। কারগিল যুদ্ধের সময় রাতারাতি মিগে কিছু পরিবর্তন এনে বিশেষ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ভারতীয় বিমানবাহিনীকে বেশ সুবিধা এনে দিয়েছিল।