- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া!

বাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:প্রতিহিংসা আর পেশি শক্তির জোরে প্রতিবেশীর চলাচলের অর্ধশতাধিক বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন মুরাদ মিয়া নামের একজনগ্রাম্য লাঠিয়াল মোড়ল। জেলার সদর থানার সুলতানপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মহিউদ্দিননগর গ্রামের বড়বাড়ির মুরাদ মিয়া তার প্রতিবেশী আব্দুর রউফের পরিবারের অর্ধশতাধিক বছর ব্যাপী চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও ‌’অদৃশ্য এক ক্ষমতা ও পেশিশক্তির ভয়ে’ থানা পুলিশও নির্বিকার বলে অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুরাদ মিয়া এলাকায় বিতর্কিত মোড়ল হিসেবে পরিচিত। তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য তার নিজের গোষ্ঠী, আত্বীয় স্বজন এবং গ্রামের অধিকাংশ মানুষ তাকে এড়িয়ে চলে। পক্ষান্তরে আব্দুর রউফের পরিবারে তার সন্তানরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উ”চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও অনেকে অধ্যয়নরত। এলাকায় সুশীল ও স্বজ্জন ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে তারা বেশ পরিচিত। অনেকের মতে, আব্দুর রউফ পরিবারের সন্তানরা উত্তরোত্তর সাফল্য ও শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র হিংসা পরায়ন হয়ে মুরদ মিয়া বিভিন্ন সময় তাদেরকে লাঠি ও পেশী শক্তির জোরে হয়রানি ও অপদস্ত করে আসছে।

এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী আব্দুর রউফের দ্বিতীয় সন্তান আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় জিডি (জিডি নম্বর- ৯২৬) করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলেও ‘অদৃশ্য কোনো কারণে’ মুরাদ মিয়াকে মৌখিক ‘সতর্ক’ করেই চলে যান। এর পর মুরাদ মিয়া তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে আব্দুর রউফ পরিবারের সদস্যদের আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে মহরা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন, যা এলাকায় খুবই উত্তেজনা ও বিশৃংখলার পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে দায়ের করা জিডি তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম জিডি তদন্তের ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন তদন্তের রিপোর্ট ইতোমধ্যে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। সবশেষে ভোক্তভোগী আব্দুর রউফ তার অর্ধ শতাধিক বছরের প্রতিষ্ঠিত রাস্তার প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে আইনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য গত ১৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৪৭ (২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৪১৪।