দর্শক জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ধারাবাহিক নাটক কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’৷ তৃতীয় সিজন শেষ হওয়ার পর থেকে দর্শকদের আগ্রহ কারণে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট-৪’ নির্মাণের পর বর্তমানে প্রচার চলছে।

তবে সম্প্রতি প্রচারিত এ নাটকের কয়েকটি পর্বের সংলাপ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর সমালোচনা শুরু হয়।

নেটিজেনদের আপত্তির মুখে সেসব পর্ব ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে দেখা যায়—চতুর্থ সিজনের ৭৪, ৭৫,৭৬ ও ৭৭তম পর্ব মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি ধ্রুব টিভির ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে নাটকটির নির্মাতাও দিয়েছেন তার ব্যাখা। এ নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচনা চলছে, ঠিক তখনই চলমান সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস ও মন্তব্য দিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ। মূলত প্রথম ব্যাচেলর পয়েন্ট প্রথম সিজনে অভিনয় করেছেন তাসনোভা এলভিন। তিনিই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “খুব খারাপ লাগে এমনটা ভাবতে যে। আমরা আসলে এমন জাতি কেনো? এতো কেনো আমরা? মানে, একটা মানুষের সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখলেই আমাদের যত ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। তখন আমরা উঠে পরে লেগে যাই ওই মানুষটাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামানোর জন্য। আর তখনই ওই মানুষটার দোষ খোঁজা শুরু হয়ে যায় আমাদের।”

তিনি আরও লেখেন, “কেনোরে ভাই, এমন চিন্তা ভাবনা কেনো আপনাদের? একটা মানুষ ভালো কিছু করলে তার পিছে লাগতেই হবে আপনাদের। শান্তি মতন ফিকশনটাও বানাতে দিবেন না আপনারা। ভাইরে ভাই, এটা তো শ্রেফ একটা নাটক যেটা আমাদের বিনোদনের জন্য বানানো হয়েছে। এখন আমরা এটার মধ্যেও দোষ খোঁজা শুরু করে দিয়েছি।”

এই স্ট্যাটাসেই আনিকা কবির শখ মন্তব্য করেন, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট অনেক জোস। যার কারণে কিছু মানুষ কাজল আরেফিন অমি ভাইয়াসহ পুরো টিমের পেছনে লাগছে। আসলে যাদের কাজ থাকে না তাদের মানুষের সাকসেস দেখলে পশ্চাৎদেশ জ্বলে যায়। ’

প্রসঙ্গত, নাটকের বিতর্কিত সংলাপ ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ ব্যবহার প্রসঙ্গে নিমার্তা অমি বলেন, ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ সংলাপটা নিয়ে অনেকের দ্বিমত ছিল। আমার পয়েন্টটা হলো আমরা কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে অনেক গালিই দিয়ে কিংবা শুনে থাকি, যা আসলে প্রকাশযোগ্য নয়। তাই ওই গালির পরিবর্তে নতুন একটি শব্দ যোগ করেছি। এই ধরনের শব্দ বাস্তব জীবনেও কিন্তু আমরা ব্যবহার করে থাকি। বাংলাদেশের নাটক-সিনেমায়ও এই শব্দগুলো ব্যবহার হয়। তাই সেসব শব্দের বদলে আমি ‘যৌনকর্মীর ছেলে’ শব্দটি ব্যবহার করেছি। যৌনকর্মী একটা শ্রেণিকে বোঝায়। যৌনকর্মী বলা তো তাদের জন্য স্বীকৃতি। কিন্তু আমরা চরিত্রের প্রয়োজনে বা নেগেটিভিটি বোঝানোর জন্য অনেকসময় মদ খাওয়া, ধর্ষণ, সিগারেট খাওয়া, মিথ্যা বলা, চুরি করা বা গালি ব্যবহার করি। সেই জায়গা থেকেই শব্দটা ব্যবহার করেছি।