- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

বিশ্বে দিনে লাখের নিচে নামছে না আক্রান্ত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে হয়েছে ৯১ লাখ। আর মৃত্যু ৪ হাজার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৭২ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এর আগের দিন শনিবারও ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা গত রবিবার জানায়, ১ লাখ ৮৩ হাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৪ হাজার ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছিল ব্রাজিলে, যা এযাবৎকালে এক দিনে আক্রান্তের রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ৬১৭ জন। আর ভারতে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৪০০। ‘এক দিনে এত বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণ কী’- এর জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দুটি কারণ রয়েছে। একটি হলো, বিশ্বব্যাপী এদিন অনেক বেশি করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। আর দ্বিতীয় কারণ হতে পারে, বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। শনিবার বিশ্বব্যাপী মারা গিয়েছিল ৪ হাজার ৭৪৩ জন, যার দুই-তৃতীয়াংশ মারা গেছে আমেরিকায়। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত রবিবার করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ব্রাজিলে। মৃত্যুর এ সংখ্যা ছিল ৬০১ জন। এর পরের স্থান ছিল ভারতের। দেশটিতে এদিন মৃত্যু হয়েছিল ৪২৪ জনের। পরের অবস্থানে থাকা মেক্সিকোতে ৩৮৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৬৭ জন, চিলি ও পেরুতে ১৮৪ জন করে, পাকিস্তানে ১১৯ জন, ইরানে ১১৬ জন, রাশিয়ায় ১০৯ জন মারা যান। দ. কোরিয়ায় দ্বিতীয় ঢেউ : প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী সিউলের আশপাশের এলাকায় এই সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কোরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি)। যদিও এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, আসলে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউই শেষ হয়নি। তবে গতকাল কেসিডিসির পরিচালক জিওং ইনান-কিয়ং বলেছেন, এটা পরিষ্কার যে, মে মাসের শুরুর দিকের সাপ্তাহিক ছুটির পর থেকে বৃহত্তর সিউলে সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। এই ছুটির আগে সিউলের আশপাশে খুব অল্প রোগী পাওয়া যেত। কেসিডিসির পরিচালক জিওং ইনান-কিয়ং বলেন, আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে, আগামী শরৎ অথবা শীতে ভাইরাসটির দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে। আমাদের পূর্বাভাস ভুল প্রমাণিত হয়েছে। লোকজন যেহেতু অন্যদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসছে, আমাদের বিশ্বাস- এই সংক্রমণ আরও বাড়বে।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন