আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ভোটের সংস্কৃতি নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ভোটাররা।

বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীও যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে নিজ দলের প্রার্থীর কথা অনুধাবন করার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উৎসব আমেজে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তার জবাব দিয়েছে জনগণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটারদের এবং নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে, তবুও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সকল প্রার্থীদেরও ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ ইভিএম এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে বলেও জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতা করলেও দেশের জনগণ অত্যন্ত সাবলীলভাবে ইভিএম- এ ভোট প্রদান করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জনগণ ইতিমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বিএনপির মানসিকতা এখনো এনালগ রয়ে গেছে। তাই তারা এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে।

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেখানেও অবাধ,শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমবারের মতো বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম -এ ভোট হয়েছে এবং ৬০ ভাগেরও বেশি ভোটার উপস্থিত ছিলেন, অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে যেসব কথা বলেছেন, তার জবাব আমি না দিলেও বসুরহাট পৌরসভার ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন।