- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

বাংলাদেশে প্রশ্নে কোনো আপস নয়

৮ অক্টোবর রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ‘সমস্যা সংকুল পার্বত্য চট্টগ্রাম : শান্তির অন্বেষণ’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। আলোচনায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের আয়োজন সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান সমস্যা, সমস্যার কারণ এবং সমাধানের পথ অনুসন্ধানে রাওয়া’র এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি সম্পর্কে এ দেশের সচেতন মানুষের কম-বেশি ধারণা আছে। তবে সাধারণ মানুষের এ ধারণার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সক্রিয় স্বার্থান্বেষী মহল গোড়া থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামসংক্রান্ত নানা বিষয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে যে তৎপরতা শুরু হয়েছে এবং সেখানকার পরিস্থিতিকে যে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলেছে, তা বাংলাদেশের অখণ্ডতার জন্য সত্যিই উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সমাবেশ এ দুশ্চিন্তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে গত এপ্রিলে আমার একটি লেখা দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছিল।

গত কয়েক মাস আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংগঠনের এক সদস্যের ফেসবুক ওয়ালে পাহাড়ি অঞ্চলে একটি বড় অস্ত্র চালানের পোস্ট দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই পোস্টে সন্ত্রাসী সদস্যটি জানিয়েছিল, বেশ কয়েক হাজার এমিউনিশনের একটি চালান তাদের হাতে গিয়ে পৌঁছেছে। পোস্টে সংযোজিত ছবিতে দেখা যায়, এমিউনিশন হলস্টার বা প্যাকেটের ওপর স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে ‘Ammunition Factory Khadki’। ভারত থেকে পাঠানো লিথাল এমিউনিশনগুলো আকারে বেশ বড়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে, এগুলো ১২.৭x৯৯ ক্যালিবারের এমিউনিশন; যা সাধারণত ভারী মেশিনগানে ব্যবহৃত হয়। ‘খাদকী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি’ হলো ভারতের একটি অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। আঠারো শতকে প্রতিষ্ঠিত এ অস্ত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, প্যারামিলিটারি ফোর্স এবং বিভিন্ন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার জন্য সফিস্টিকেটেড স্মল আর্মস এবং এমিউনিশন তৈরি করে। বিগত কয়েক মাস ধরেই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভারত থেকে পাঠানো এমন অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হাতে রকেট লঞ্চারের মতো মারাত্মক অস্ত্রও চলে এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রকেট লঞ্চার হলো এমন অস্ত্র, যার দ্বারা ট্যাংক কিংবা বাঙ্কার ধ্বংস করা যায়। এ অস্ত্র প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত সেনাছাউনির ক্ষতি করতেও সক্ষম। এ ছাড়াও পার্বত্য অঞ্চলে চালানকালে ভারতের মিজোরামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও আটক হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্ট থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযানে যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তার ৬৩ শতাংশই ছিল ভারত থেকে পাঠানো।

ভারতের মদদপুষ্ট ইউপিডিএফ এখন বাংলাদেশবিরোধী সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। বর্তমানে এ দলটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যেমন হুমকির কারণ, ঠিক তেমনই পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্যও আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। চাঁদা তোলা, লুটপাট, মানুষ অপহরণ ও হত্যা করা তাদের কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী দলগুলো গত এক বছরে ৩৫২ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। এর মধ্যে ১০৪ কোটি টাকা ইউপিডিএফ একাই তুলেছে। সাধারণ গরিব পাহাড়ি, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও মানুষ অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসাবে এ অর্থ তারা সংগ্রহ করেছে। এ সন্ত্রাসী দলটি সাত মাস আগে মোবাইল নেটওয়ার্ক রবি’র তিন কর্মকর্তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ ৬ কোটি টাকা আদায় করে ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি দিয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে পাহাড়ে ৩৩২ জন অপহৃত হয়েছে এবং এ সময়ের মধ্যে ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় দেখা গেছে, পাহাড়ে বসবাসকারী কোনো সম্প্রদায়ের মানুষই সন্ত্রাসীদের এ অমানবিক অত্যাচার থেকে মুক্ত নয়। পাহাড়ের একজন গরিব চাষি, যিনি জুমচাষ করে সংসার চালান অথবা বাড়ির আশপাশে ফলমূল ও সবজি চাষ করে বাজারে বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করেন, তাকেও সন্ত্রাসী দলগুলোকে উৎপাদিত পণ্যের ওপর নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হয়। এসব অত্যাচার নীরবে সহ্য করেই তাদের চলতে হয়; মুখ ফুটে তারা কিছু বলতে পারেন না। কেউ হুকুমের বরখেলাপ করলেই জীবননাশের হুমকি আসে। অথচ আমাদের শহুরে বুদ্ধিজীবীদের মুখে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি শব্দও শোনা যায় না; বরং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালির আচরণ নিয়ে সমালোচনায় তারা ব্যস্ত থাকেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগী মানুষকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রচলিত বিধিব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার হতে দেখা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি বলে কিছু নেই। সেখানে বসবাসকারী সবাই পাহাড়ি। সবাই এদেশের নাগরিক ‘বাংলাদেশি’। অথচ বহুকাল থেকেই সেখানে এক ধরনের সামাজিক বিভেদ সৃষ্টির প্রবণতা দেখা যায়। রাওয়া’য় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ‘সিএইচটি সম্প্রীতি জোট-এর পক্ষ থেকে থোয়াইং চিং মং শাক এ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক বিভেদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে যারা ‘বাংলাদেশ’কে নিয়ে ভাবে, তাদের নিয়ে কেউ ভাবে না। কিন্তু পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে যখন আমরা আলোচনায় বসি, সন্তু লারমাসহ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে বসি।’’ থোয়াইং চিং-এর এ কথার অবশ্যই গুরুত্ব আছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ভবিষ্যতে নতুন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণকালে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন,‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বললেই মনে করি ‘চাকমা’। সন্তু লারমার একটি বাহিনী ছিল-জেএসএস। সেই জেএসএস থেকেই আজ সাতটি দল তৈরি হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত বলা ভালো, এ সাতটি দলই এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। থোয়াইং চিং-এর অভিযোগ,‘‘আমরা রাঙামাটিকে লিজ দিয়েছি চাকমাদের হাতে, বান্দরবানকে মারমাদের হাতে আর খাগড়াছড়িকে দিয়েছি ত্রিপুরাদের হাতে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী, নৃগোষ্ঠী, সেটলার, সেটলার বাঙালি শব্দগুলো বাদ দিতে হবে। আপনারা ঢাকায় বসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন-পাহাড়ি বাঙালি বলেন, মানে কী? আপনিও পাহাড়ি, আমিও পাহাড়ি, যে পাহাড়ে বসবাস করে তারাই পাহাড়ি।’’ তারপর তিনি যে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার অবকাশ আছে। তিনি বলেছেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘চাকমাকেন্দ্রিক স্বপ্ন’ না দেখে সব জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তবেই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বা পশ্চিমারা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।’’

থোয়াইং চিং-এর শেষ উচ্চারিত বাক্যটি পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। গত সপ্তাহে যুগান্তরে প্রকাশিত একটি লেখায় এ বিষয়টিই আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বৃহত্তর ঐক্য জরুরি। এ প্রসঙ্গে রাওয়া’র আলোচনার অন্যতম বক্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল্ ইউসুফ বক্তব্য দিতে গিয়ে যে কথা বলেছেন, তা প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, যেসব সমস্যার কোনো সমাধান নেই, তার বাইরে গিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। তিনি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক কিছু ভুলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যখনই পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার কথা বলি, এটাকে আমরা পাহাড়ি-বাঙালি এ বাইনারি লেন্স দিয়ে দেখার চেষ্টা করি। কারণ এ ন্যারেটিভটাকে আমাদের ভেতর ফ্রেইমিং করা হয়েছে। যখনই একটা কনফ্লিকটের ভেতরে বর্ণবাদ বা ধর্মীয় বিষয় চলে আসে, এটা তখন সমাধানের বাইরে চলে যায়।’ অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভারত ও তাদের এদেশের দোসররা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার ভেতর বর্ণ ও ধর্মকে (সংখ্যালঘু ইস্যু) ঢুকিয়ে সমাধানের পথকে আরও কঠিন করার চেষ্টা করছে। তিনি প্রশ্ন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আসলেই কি কোনো এথনিক সমস্যা আছে? পাহাড়ে যারা বসবাস করেন, তারা সবাই এ মাটির সন্তান, এ দেশেরই নাগরিক ‘বাংলাদেশি’।

আলোচনা সভার বক্তারা ঠিক কথাই বলেছেন; পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি বলে কোনো ভাগাভাগি নেই। ভাগাভাগি বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে এ ভাগাভাগির একপক্ষে আছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ আর অন্য পক্ষে আছে সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে হলে সন্ত্রাস দমনের কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে, আমাদের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তা নেই। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন অভিযানের কোনো প্রশিক্ষণও তাদের দেওয়া হয় না। যে ভারত পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও একই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সে দেশের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য অবস্থান করছে। সুতরাং, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও কোনো বিকল্প নেই। কাজেই পাহাড়ে যারা শান্তি বিনষ্ট করবে, সেনাবাহিনী তৎক্ষণাৎ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, এটাই স্বাভাবিক।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে লেখাটি শেষ করতে চাই। তার বক্তব্য শোনার পর, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে তাদের আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আর কোনো দ্বিধা থাকার কথা নয়। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যদি মিয়ানমারের ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে পারে, তাহলে পাহাড়ে বসবাসকারী ১৫ লাখ বাঙালিকে কেন সমতলে জায়গা দিতে পারবে না?’ কী সাংঘাতিক হঠকারী বক্তব্য! পাহাড় খালি করে বাঙালিদের সমতলে পাঠিয়ে তারা কী উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান? মাইকেল চাকমার এ দেশবিরোধী বক্তব্য বাংলাদেশের অখণ্ডতার জন্য হুমকির শামিল। একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের অখণ্ডতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। অতএব, সন্ত্রাসীদের এ ধরনের বক্তব্যকে হালকাভাবে না নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে এখন থেকেই আরও সতর্ক ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

লেখক: একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল