
নানান অব্যবস্থাপনা, আর্থিক অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে চলমান ‘লাতিন–বাংলা সুপার কাপের’ শেষ ম্যাচ স্থগিত ঘোষণা করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই সেই ম্যাচ স্থগিত করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়। একই সঙ্গে ম্যাচ স্থগিতের সিদ্ধান্তও জানানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, ম্যাচ টিকিট বিক্রির ৫০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ না করা, খেলা শেষে স্টেডিয়াম পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা না করা, স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার সত্ত্ব নিয়ে কোনো তথ্য না দেওয়া—এসব কারণে আয়োজকদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। এসব অনিয়মের কারণে ৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার মধ্যে টিকিট বিক্রির অর্ধেক অর্থসহ সব আর্থিক হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ম্যাচ চলাকালে জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রীড়া সাংবাদিক রুবেল রেহান বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের হামলার শিকার হন। ঘটনাটি ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ‘গুরুতর ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে। ম্যাচ স্থগিতের পেছনে এটিকেও অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
এদিকে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি দুই ফুটবল লিজেন্ড কাফু ও ক্লদিও ক্যানিজিয়াকে আনার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তারা কেউই আসছেন না বললেই চলে।

