কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।

শনিবার (১৮ জুলাই) অনলাইনে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘কৃষিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ সহায়তা’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষিকে কেন্দ্র করেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন এগিয়ে যাবে। সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

‘আগামী আমন ও রবি মৌসুমে অধিক ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে করে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না হয়। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষকেও যেন অভুক্ত থাকতে না হয়, কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বন্যা ও করোনা পরিস্থিতিতে ধনবাড়ী উপজেলার হতদরিদ্র ১৫৭ পরিবারের মাঝে ৪ লাখ টাকা অর্থ সহায়তার চেক দেওয়া হয়। এছাড়া গৃহনির্মাণের জন্য ৬০ জনকে ঢেউটিন ও ৬০ জনকে ৩ হাজার টাকা করে প্রায় আরো ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে এসব সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেন ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা। অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা, পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৭ জুলাই) অনলাইনে আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘কৃষিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিলের অর্থ সহায়তার’ আওতায় হতদরিদ্র ২৭৮টি পরিবারের মাঝে ৬ লাখ টাকার অর্থ সহায়তার চেক বিতরণ করেন। তার পক্ষে এসব চেক বিতরণ করেন মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু।

এছাড়া এদিন মন্ত্রী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি ‘মোবাইল গাড়ির’ উদ্বোধন করেন। সে সময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, পৌরসভার মেয়র মাসুদ পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ইয়াকুব আলী, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন