- Bangladesher Shomoy | বাংলাদেশের সময়.কম - https://www.bangladeshershomoy.com -

বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে আমরা সবচেয়ে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছি : ডব্লিউএইচও

প্রতিদিন এত আক্রান্ত, এত মৃত্যু—তারপরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে কোনো স্বস্তির খবর নেই। বরং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনো আসেনি বলে জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস । তিনি বলেন, বর্তমান পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে আমরা সবচেয়ে খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছি। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান

সোমবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস এসব কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর ছয় মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্ত এক কোটিরও বেশি মানুষ। আর এতেই ভাইরাসটির ভয়াবহতা প্রতিফলিত হয় বলে মনে করেন টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস। তিনি বলেন, নতুন এই ভাইরাস আমাদের পৃথিবী- আমাদের জীবনকে কোন ধরনের বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিতে পারে, তা ছয় মাস আগে আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি।

টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ভাইরাসটি ছড়ানোর এখনো অনেক জায়গা রয়েছে। আমরা সবাই চাই করোনা বিদায় নিক। আমরা সবাই আমাদের জীবন বাঁচাতে চাই। তবে নিষ্ঠুর সত্য হল করোনা এখনো শেষ হওয়ার ধারে-কাছেও নেই। যদিও কিছু দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কিন্তু এখনো এই ভাইরাস বাড়ছেই।

করোনাভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো কার্যকরী ওষুধ কিংবা টিকা আবিস্কার করতে পারেনি বিশ্ব। দীর্ঘমেয়াদে করোনাভাইরাসকে রুখতে হলে টিকার কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু এখনো কোনো ওষুধ কিংবা টিকা তৈরি করতে পারেনি বিশ্ব, তাই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

টেড্রোস আধানম বলেছেন, ‘আমাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, হাত ধুঁতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ ঢাকতে হবে, অসুস্থবোধ করলে বাসায় থাকতে হবে, যেখানে প্রয়োজন সেখানে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এগুলোই এখন আমাদের কাছে করোনা রোখার সহজলভ্য উপায়।’

ব্রিফিংয়ে টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস জানান, ভাইরাসটি প্রতিরোধের উপায় খোঁজার গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই সপ্তাহে একটি বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএইচও।